চলতি মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য বরোদা অধিনায়ক হিসাবে বেছে নিয়েছিল ক্রুণাল পান্ডিয়াকে। এই ৩৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি এবং রঞ্জি ট্রফিতে ভালো পারফরম্যান্স করে দেখিয়েছে বরোদা। যখনই দলের প্রয়োজন হয়েছে তখনই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। ক্রুণালের নেতৃত্বে প্রথমবার বরোদা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল।
তবে সেখানে শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন মুম্বইয়ের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল তাদের। এই প্রতিযোগিতায় টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়ে বরোদা। সিকিমের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান তুলেছিল তারা। শুধু তাই নয়, বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালেও পৌঁছে গিয়েছিল বরোদা। পরাজিত হতে হয়েছিল কর্ণাটকের কাছে। এই প্রতিযোগিতায় ক্রুণাল পান্ডিয়া ২৫৬ রান করেন এবং ১১ উইকেট নেন।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই রঞ্জি ট্রফির নকআউটে পৌঁছে গেছে বরোদা। বর্তমানে এলিট এ গ্রুপে ৫ ম্যাচ খেলে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টপে রয়েছে তারা। রঞ্জি ট্রফিতে আজ থেকে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে ক্রুণাল পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন বরোদা দল। ম্যাচের আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রুণাল দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভাই হার্দিক পান্ডিয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসাবে আমি বরোদার এই মরশুমের পারফরম্যান্স দেখে খুশি। এটা দেখে ভালো লাগছে যে বরোদা একই মরশুমে ৩টি প্রতিযোগিতার নক আউট জায়গা করে নিতে পেরেছে। এটা একটা অনন্য নজির। একটি ইউনিট হিসাবে, আমরা পরিবর্তন পর্বে আছি। তিনটি ফরম্যাটের ফলাফল প্রমাণ করে যে আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অধিনায়ক হিসাবে আমার লক্ষ্য বরোদাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে শক্তিশালী দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। আমাদের দলে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। একজন অধিনায়ক এবং মেন্টর হিসাবে আমার কাজ তাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।’
গতবছরের শুরুর দিকে খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়াকে। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন একটা সময়। তারপর ঘুরে দাঁড়ান এবং দেশের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। নিজের ভাইয়ের লড়াই প্রসঙ্গে ক্রুণাল বলেন, ‘হার্দিক একজন সেল্ফমেড এবং পরিণত ব্যক্তি। প্রতিটা কামব্যাকে সে নিজের ব্যর্থতাকে ছাপিয়ে গেছে। ও ক্রিকেটের সম্পদ। তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে ও একটা অনুপ্রেরণা এবং অবশ্যই একটি জীবন্ত উদাহরণ। আজকের কোলাহলপূর্ণ বিশ্বে বিভ্রান্ত হওয়া সহজ, কিন্তু আপনি যদি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন তবে কোনও কিছুই আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জন থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’