দীর্ঘ ৮ বছর পরে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির আঙিনায় ফিরে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া। গুজরাটের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। সেই সঙ্গে ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন তিনি। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন হার্দিক।
উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেই সঙ্গে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন তিনি। যদিও উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে দাদা ক্রুণাল পান্ডিয়া ম্যাচের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে যান।
তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে ৪টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩০ বলে ৬৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন হার্দিক। সেই ম্যাচে গুরজপনীত সিংয়ের এক ওভারে ৪টি ছক্কা ও ১টি চারের সাহায্যে ২৯ রান সংগ্রহ করেন তিনি। যদিও একটি নো বল-সহ সেই ওভারে ওঠে মোট ৩০ রান। ফের ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার ওঠে হার্দিকের হাতে।
এবার ত্রিপুরার বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে ফের ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন হার্দিক। এবার ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৪৭ রানের দুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন জুনিয়র পান্ডিয়া। এবার পারভেজ সুলতানের এক ওভারে ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ রান সংগ্রহ করেন হার্দিক।
বরোদা বনাম ত্রিপুরা ম্যাচের ফলাফল
ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে বি-গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ত্রিপুরা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১০৯ রান তোলে। ক্যাপ্টেন মনদীপ সিং ৪০ বলে ৫০ রান করেন। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। বরোদার হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন আকাশ সিং। ক্রুণাল পান্ডিয়া ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। বল করেননি হার্দিক।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বরোদা ১১.২ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১১৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। হার্দিকের ৪৭ ছাড়া ২৪ বলে ৩৭ রান করেন মিতেশ প্যাটেল। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৫২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে বরোদা। ম্যাচের সেরা হন আকাশ।