শুভব্রত মুখার্জি: প্রায় এক দশকেরও বেশি সময়ের যন্ত্রণা, হতাশা দূর হয়েছে ভারতীয় সিনিয়র পুরুষ ক্রিকেট দলের। দীর্ঘ দিন বাদে ভারতীয় ক্রিকেট দল আইসিসির ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে। ২৯ জুন ২০২৪ বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টানটান উত্তেজনার ফাইনাল ম্যাচে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে জিতে নিয়েছে ট্রফি। সেই ট্রফি জয়ের পরে দেশে ফিরেও ক্রিকেটাররা বীরের সম্মান পেয়েছেন। বিসিসিআইয়ের তরফে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁদেরকে দেওয়া হয়েছে রাজকীয় সংবর্ধনা। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন জমায়েত হয়েছিলেন মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভ চত্বরে।
আরও পড়ুন: কতদিন খেলবেন ওডিআই ও টেস্ট? আমেরিকায় গিয়ে ঘোষণা করলেন রোহিত শর্মা!
এর পর তারকারা একে একে নিজেদের রাজ্যে ফেরা শুরু করেন। সেখানেও বদলায়নি ছবিটা। সেখানেও তাঁদেরকে বীরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নিজের জন্মস্থান বরোদায় ফিরেছেন ভারতীয় বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁকেও সেখানে রাজকীয় ভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বকাপ জয়কে সেলিব্রেট করতে বরোদায় আয়োজন করা হয়েছিল রোড-শো'র। যার মুখ্য আকর্ষন ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
আরও পড়ুন: স্বার্থপর, কখনও ভালো লিডার হতে পারবে না- যশস্বীর জন্য শুভমনকে তীব্র আক্রমণ নেটপাড়ার
সাদা বলের ফর্ম্যাটে ভারতের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া সোমবার গুজরাটের বরোদায় এসে পৌঁছান। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ক্রিকেট ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতন। ৩০ বছর বয়সী তারকা এর পর ভারতের জয়কে সেলিব্রেট করতে আয়োজন করা রোড-শো-তেও অংশ নেন। যেখানে একটি হুড খোলা বাসে শহর পরিক্রমা করেন তিনি। বাসের গায়ে লেখা ছিল ‘হার্দিক পান্ডিয়া দ্য প্রাইড অফ বরোদা’। অর্থাৎ বরোদার গর্বকে জানাই স্বাগত। হার্দিক এদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েই বাসের উপর দাঁড়িয়ে হাত নাড়াতে নাড়াতে ভক্তদের ভালোবাসা কুড়িয়ে নেন। বেশ কয়েক হাজার মানুষ তাঁকে দেখার জন্য জড়ো হয়েছিলেন রাস্তাতে। তাঁদের উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধনহারা।
এই রোড-শো'তে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দাদা ক্রুনাল পান্ডিয়াও। যিনি এই মুহূর্তে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলছেন। ঘটনাচক্রে চোট এবং বিতর্ককে পাশে সরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়া টি-২০ বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। তিনি ব্যাট এবং বল হাতে ভারতের হয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। ভারতের কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং দেখে যখন মনে হয়েছিল যে, এই ম্যাচ তারা বের করে নিয়ে যাবেন এমন সময়ে এনরিখ ক্লাসেনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচের রঙ বদলে দেন। পাশাপাশি শেষ ওভারে বল করতে এসে তিনি নিজের নার্ভ ধরে রাখতে সমর্থ হন। প্রথম বলেই ডেভিড মিলারের উইকেটটি তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ফাইনালে হার্দিক পান্ডিয়া ২০ রান দিয়ে তিন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটে তুলে নেন ভারতের হয়ে।