শুভব্রত মুখার্জি:- জাতীয় স্তরে অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের ওয়ানডে টুর্নামেন্টে হরিয়ানা মুখোমুখি হয় ত্রিপুরার। শনিবাসরীয় এই ম্যাচেই অনবদ্য এক ইনিংস খেললেন হরিয়ানার টিন এজার ব্যাটার দিয়া যাদব। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এক অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন দিয়া। করেছেন অপরাজিত ২১৩ রান। শনিবার রায়পুরে প্রায় স্বপ্নের ব্যাটিং করেছেন দিয়া। ত্রিপুরার বোলারদের এদিন বেদম প্রহার করেন তিনি। তাঁর ইনিংসটি সাজিয়েছেন একটি বা দুটি বাউন্ডারিতে নয়। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৪০টি বাউন্ডারিতে। এতটাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন এদিন দিয়া।
সামনেই রয়েছে দ্বিতীয় উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের নিলামের আসর। ৯ ডিসেম্বর মুম্বইতে বসবে এই নিলামের আসর। এই নিলামের আসরে বেশ কিছু অবাক করা ক্রিকেটারকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি তাদের দলে নিতে পারে। শনিবারের এই অনবদ্য ইনিংসের পরে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হতেই পারেন দিয়া যাদব। পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার দিয়া এদিন তাঁর দ্বিশতরানের ইনিংসটি খেলেছেন ১২৫ বলে। এই ফরম্যাটে এই বিভাগে ভারতীয় ঘরোয়া সার্কিটে এটিই প্রথম দ্বিশতরানের ইনিংস।
ফরিদাবাদে জন্ম হয়েছিল দিয়ার। বাবা পেশায় স্টক ব্রোকার। মা আইটি সংস্থায় কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই দিয়ার ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল। বাবা-মা দিয়াকে ছোট থেকেই উৎসাহ দিয়েছেন।ফলে ক্রিকেটার হয়ে ওঠার তার যে স্বপ্ন তাকে বাস্তব করতে বাবা-মা'র অবদানও কম নয়। এদিন ১২৫ বলে দিয়া অপরাজিত ২১৩ রান করেছেন। তার দ্বিশতরানে ভর করেই হরিয়ানা এদিন ১ উইকেটে ৩৪৩ রান তুলতে সমর্থ হয়। জবাবে মাত্র ২০.৩ ওভারেই অল আউট হয়ে যায় ত্রিপুরা। মাত্র ২১ রান করতে সমর্থ হয়েছে ত্রিপুরা। এই জয়ের ফলে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই শেষ করল হরিয়ানা। আর গ্রুপে শীর্ষে থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল হরিয়ানা।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা দিয়া বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন পুণেতে সবসময় গলিতে ক্রিকেট খেলতাম। তখনই আমার বাবা আমাকে একটি অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দেয়। আমি অ্যাকাডেমিতে এবং করোনার পর শিখছিলাম। করোনা চলাকালীন আমার বাবা-মা হরিয়ানায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শুধুমাত্র ক্রিকেটে আমার আগ্রহের কারণে। আমি জানি না অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটারদের তালিকায় বিবেচনা করা যেতে পারে তবে যদি এটি অনুমোদিত হয়। আমি নকআউটে ভালো করতে চাই এবং ফাইনালে উঠতে চাই।’ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিজের আইডল মানা দিয়া এবার নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন ডব্লুপিএলের নিলামেও। তাঁকে যদি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি সই করায়, সেক্ষেত্রে উইমেন্স প্রিমিয়র লিগেও ঝড় তুলতে পারেন তিনি।