২০২৪ আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি। তেমনই উদীয়মান ক্রিকেটারদের মধ্যে অনবদ্য পারফরমেন্স ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলার হর্ষিত রানারও। এবারের আইপিএলে করেছিলেন বিরাট কোহলিকে আউটও, যদিও সেই আউট ছিল যথেষ্টই বিতর্কপূর্ণ। বিরাট কোহলি নিজে বেজায় বিরক্ত ছিলেন বিষয়টি নিয়ে, যদিও রানা সেই সময় বিষয়টি এড়িয়ে যান। দিল্লির ২২ বছর বয়সী পেসার হর্ষিত রানা অবশ্য এবারের আইপিএলের শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে আউট করে ফ্লায়িং কিস দিয়ে আর্থিক জরিমানার মুখে পড়েছিলেন, দিল্লির অভিষেক পোড়েলের বিরুদ্ধেও একই সেলিব্রেশন করতে গিয়েও করেননি। তবুও এক ম্যাচ নির্বাসিত হতে হয় তাঁকে। কিন্তু সামনে বিরাট কোহলিকে ফ্লাইস কিস কেন দেননি, উত্তর দিলেন হর্ষিত।
আরও পড়ুন- ATP Ranking-এ কেরিয়ারের সেরা ৭১ নম্বরে সুমিত নাগাল, ৬ ধাপ উঠে টপকালেন লিয়েন্ডারের নজির
এবারের আইপিএলে ১৩ ম্যাচে হর্ষিত রানা নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট। কেকেআরের জোরে বোলারদের মধ্যে তাঁর পারফরমেন্স ছিল অন্যতম সেরা। নিয়েছিলেন বিরাট কোহলির উইকেটও। আইপিএলের দ্বিতীয় লেগের সেই ম্যাচ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল, কারণ কোমরের পর কোহলিকে বল করেছিলেন রানা। আর তাতেই আউট হন বিরাট। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাইট পেসারকে প্রশ্ন করা হয়, বিরাট কোহলিকে কেন ফ্লায়িং কিস দেননি তিনি, এবার সেই উত্তরই দিলেন নাইট রাইডার্সের পেসার।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো-নেপালের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গ শাকিবের, ড্রেসিং রুমের পরামর্শে DRS, শুরু বিতর্ক
হর্ষিত রানা বলছেন, ‘ এই ধরণের সেলিব্রেশন হঠাৎ করেই চলে আসে, এর পিছনে কোনও পরিকল্পনা থাকে না। প্রথম ম্যাচে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের বিপক্ষে করার পর অনেকে চেয়েছিল বিরাট কোহলির বিরুদ্ধেও একই সেলিব্রেশন করি, কিন্তু সেটা আমি কখনই বিরাটের বিরুদ্ধ করব না। কারণ আমি অনেক সম্মান করি তাঁকে। রোহিত শর্মার সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছিলাম, ও বলেছিল আমার যদি এই সেলিব্রেশন করতে ভালো লাগে, তাহলে সেটা চালিয়ে যেতে। এখন যখন লোকে দেখলেই আমায় ফ্লায়িং কিস দিতে বলে, তখন খুব ভালো লাগে যে মানুষ আমাকে এই বিষয়টার জন্য মনে রেখেছে ভেবে’ ।
আরও পড়ুন-সুপার ৮-এ নামার আগে ফিলগুড মেজাজে কোহলি-হার্দিকরা, খেললেন বিচ ভলিবল!দেখুন ভিডিয়ো
প্রথম ম্যাচেই তাঁর দেওয়া বিতর্কিত ফ্লায়িং কিস নিয়ে হর্ষিত রানা বলছেন, ‘আমি কিন্তু মায়াঙ্ক আগরওয়ালের বিপক্ষেও ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি করিনি, ওটা হয়ে গেছিল। ও বলটা আকাশে মারার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ওর কাছাকাছি চলে এসেছিলাম, তখন ওকে ওরম সেলিব্রেশন করে দেখাই। ক্যামেরাম্যান বিষয়টি ফোকাস করে দেখিয়ে দেয়। এরপর ফাইনালে যখন দেখা হয় আমি ওকে বলেছিলাম, যে অসম্মান করার উদ্দেশ্যে আমি এটা করিনি। সেটা মায়াঙ্ক আগরওয়ালও বুঝতে পারে, আমার সঙ্গে ওর বোঝাপড়া যথেষ্ট ভালো। দলীপ ট্রফিতেও মাঝ্যে মধ্যে এমন করে থাকি ’ ।