বিশ্বকাপের টিকিট হাতের নাগালে ছিল। তবে মুহূর্তের ভুলে হাতছাড়া হয় বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। হিসাব মেলাতে না পারায় কঠিন লড়াই জলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
মেয়েদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে শনিবার কোয়ালিফায়ারের শেষ ম্যাচে শুধু থাইল্যান্ডকে হারালেই চলত না, বরং নেট রান-রেটের দিকেও খেয়াল রাখতে হতো ক্যারিবিয়ানদের। পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ তাদের শেষ ম্যাচে হারতেই টার্গেট স্থির হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
প্রথমত, থাইল্যান্ডকে হারালে ৬ পয়েন্টে পৌঁছে বাংলাদেশকে ছোঁয়া যেত। দ্বিতীয়ত, ১০.১ ওভারে ১৬৭ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছলেই নেট রান-রেটেও বাংলাদেশকে টপকে যাওয়া যেত। তবে নেট রান-রেটের অঙ্কটা বোধহয় একটু জটিল মনে হয় ক্যারিবিয়ান তারকাদের কাছে। স্টেফানি টেলররা বুঝে উঠতে পারেননি যে, ছয় নয়, শেষ বেলায় তাদের দরকার ছিল চার রান।
আসলে ১০.৫ ওভারে স্টেফানি টেলর যদি চার মারতেন, তবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্কোর লেভেল হয়ে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেক্ষেত্রে স্কোর লেভেল হওয়ার পরে ওভারের শেষ বলে ছয় মারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যেত। কেননা স্কোর লেভেল করার পরে ছয় মেরে ম্যাচ জিতলে থাইল্যান্ডের ১৬৬-র জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খাতায় থাকত ১৭২ রান। সেক্ষেত্রে ১১ ওভারের জয়ই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট হতো। তবে স্কোর লেভেল করে তার পরে ছক্কা হাঁকানোর বিষয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরের কয়েকজনই বুঝেছিলেন। সকলের বোধগম্য হয়নি।
আরও পড়ুন:- IPL 2025-এর মাঝেই ‘চ্যাম্পিয়ন দলের’ আরও এক তারকাকে দলে ফেরাল KKR, ভাগ্য ফিরবে?
ক্যাপ্টেন হেইলি ম্যাথিউজ-সহ যাঁরা বুঝেছিলেন বিষয়টি, তাঁরা ডাগ-আউট থেকে হাতের ইশারায় চার মেরে স্কোর লেভেল করার নির্দেশ দেন ব্যাটার স্টেফানি টেলরকে। যাঁরা বোঝেননি, তাঁরা ডাগ-আউট থেকে ছক্কা মারার দাবি তোলেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ব্যাটার স্টেফানি টেলর সম্ভব এক্ষেত্রে দ্বিতীয় দলে ছিলেন। তাই তিনি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করে দেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ তো জেতে, তবে নেট রান-রেটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশের কাছে। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়ে যায় বাংলাদেশ। হতাশায় ডুব দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরও পড়ুন:- ম্যাচ জয়ের শতকরা হারে IPL-এর সেরা ক্যাপ্টেন কে? ধোনিকে তাড়া করছেন হার্দিক-শ্রেয়স
স্টেফানি টেলর ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতানোর পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেশ কিছু ক্রিকেটারকে ডাগ-আউটে উচ্ছ্বাসে লাফিয়ে উঠতে দেখা যায়। তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো জয় নিশ্চিত হওয়ায় বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করলেন। তবে ভুল ভাঙে ম্যাথিউজদের কথায়। ম্যাথিউজরাই সতীর্থদের বলেন যে, ‘আমরা জিতিন, আমরা (জিতেও) হেরে গেছি।’
ভুলটা বুঝতে পারার পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডাগ-আউট মুহূর্তে স্বব্ধ হয়ে যায়। উচ্ছ্বাস পরিণত হয় হতাশায়। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। আইসিসি সেই মন খারাপ করা ভিডিয়ো পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।