দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে পুড়ে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। মহম্মদ রিজওয়ানের দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে করেছিল ৩২৯ রান, জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮১ রান দূরেই থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। কেপটাউনের মাঠেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে কোচ বিতর্কে দিশেহারা পাকিস্তান দল।
আরও পড়ুন-নতুন বছরে বাগান সমর্থকদের উপহার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার! হায়দরাবাদ FC ম্যাচের টিকিট ফ্রি
ছন্দে বাবর-রিজওয়ান
প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও ঠিক সময়ই তিনি জ্বলে উঠলেন। করলেন ৭৩ রান। বিদেশের মাটিতে এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক ম্যাচের থেকেই বেশি। অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান করলেন ৮০ ররান। এরপর অবশ্য ৩২ বলে ৬৩ রানের ক্যামিও আসে কামরান গুলামের ব্যাট থেকে, মারেন চারটি চার এবং পাঁচটি ছয়।
দ্বিতীয় ওডিআইতে বিতর্ক-
দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে কেপটাউনে পাকিস্তানের ৮১ রানে জয় নিশ্চিত করে দেন পেসার শাহিন আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ। আফ্রিদি নেন ৪ উইকেট, নাসিম নেন ৩ উইকেট। ম্যাচে অবশ্য দঃ আফ্রিকা ইনিংসের মাঝামাঝি সময় বেশ উত্তাপ ছড়িয়ে রয়েছে। মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গেই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন প্রোটিয়া তারকা এনরিখ ক্লাসেন।
আরও পড়ুন-বুমরাহকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য প্রাক্তন ইংরেজ তারকার? বাবা কলকাতার ছেলে ছিলেন!
ক্লাসেন-রাউথ কথা কাটাকাটি-
দঃ আফ্রিকা ইনিংসের ২৬তম ওভারে ঘটে ঘটনাটি। ওভারের শেষ বল করার পর পাক পেসার হরিস রাউফ কিছু একটা বলেন ক্লাসেনকে উদ্দেশ্য করে, যেটা খুব একটা পছন্দ হয়নি ক্লাসেনের। এরপরই আম্পায়াররা বিষয়টায় জড়িয়ে পড়েন এবং দুই ক্রিকেটারকেই বিতর্কে না জড়ানোর পরামর্শ দিয়ে আলাদা করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
রিজওয়ান বিতর্কে জড়ান-
এরপরই আসরে নামের পাকিস্তানের অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান। তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ ক্লাসেনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। আর বিষয়টা যে খুব নরম গলায় হচ্ছিল না তার প্রমাণ মেলে লাইভে, কারণ প্রোটিয়া ব্য়াটারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক, যদিও পাল্টা ক্লাসেনও তাঁর কথার সঙ্গে একমত না হয়ে পাল্টা উত্তর দিচ্ছিলেন।
বাবর মেটালেন ঝামেলা-
এরপর পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম ছুটে গিয়ে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করেন। এরপর হরিস রাউফেও বিষয়টায় জড়াতে যাচ্ছিলেন, যদিও বাবর আজম তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর বিষয়টি মিটে যায়, আবারও খেলা নিজের ছন্দেই শুরু হয়। যদিও এটাও পাকিস্তান ক্রিকেটারদের ঋষভ পন্তের নেওয়া ট্যাক্টটিক্স কিনা ক্লাসেনের ছন্দ ভেঙে দেওয়ার, তা বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন-ওয়ার্নারের স্লেজিংয়ে ভয় পাননি! উল্টে দ্বিগুন স্লেজিং করেন পূজারা! ফাঁস করলেন রহস্য…
ক্লাসেনেরর ৯৭ রানের ইনিংস-
৩৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ক্লাসেন ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন মাত্র ৭৪ বলেই। মারেন ৮টি চার এবং চারটি ছয়। কিন্তু তাতে লাভের লাভ খুব একটা হয়নি। কারণ পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৮১ রানে ম্যাচ জিতে যায়। ক্লাসেনকে সাপোর্ট করার মতো কোনও প্রোটিয়া ক্রিকেটারই ছিলেন না। যার ফলে তাঁর পক্ষেও এত রানের টার্গেটে একা নিয়ে গিয়ে ম্যাচ জেতানো সম্ভব হয়নি। এই নিয়ে টানা তিনটি ওডিআই সিরিজে জিতল পাকিস্তান, এরপর আগে জিম্বাবোয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়েও ২-১ ফলে সিরিজ জিতেছিল হরিস রাউফরা।