গতবারের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও একটা সময় চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলছিল রাজস্থান রয়্যালস শিবির। দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরাই ফাইনালিস্ট। কিন্তু শেষদিকে খেই হারিয়ে ফেলে একটা সময় প্লে অফের রাস্তাই কঠিন করে ফেলেছিল সঞ্জু স্যামসনের দল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁরা কোয়ালিফায়ার টুতে সানরাইজার্সের কাছে হেরে বিদায় নেয়।
আরও পড়ুন -তিনটি আলাদা নেটে বিশেষ অনুশীলন! অ্যাডিলেডে রানে ফিরতে মরিয়া ল্যাবুশেন…
নির্ধারিত ২৫জন ক্রিকেটারের কোটার মধ্যে থেকে ২০জনকে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস শিবির। এদের মধ্যে ৬জন বিদেশি ক্রিকেটার। অর্থাৎ রিটেন করতে গিয়ে অধিকাংশ অর্থ বেরিয়ে যাওয়ায়, তাঁরা নিলামে অযথা খরচা করেননি। বেছে বেছে নিজেদের টার্গেট অনুযায়ী ক্রিকেটারদের তুলে নিয়ে এসেছেন। সঞ্জু, যশস্বীদের সঙ্গে তাঁদের মানিয়ে নেওয়ার অপেক্ষা। একঝলকে রাজস্থানের শক্তি ও দুর্বলতা।
রাজস্থানের সম্ভাব্য একাদশ-
ওপেনিং করবেন যশস্বী জয়লওয়াল এবং সঞ্জু স্যামসন। তিনে নীতীশ রানা, এরপর রিয়ান পরাগ এবং ধ্রুব জুরেল। বিদেশি ব্যাটার আশা শুরু এরপর। সিমরন হেতমায়ের এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা খেলবেন এরপরে। শুভমন দুবে অথবা আকাশ মাধওয়ালের মধ্যে কেউ থাকবে, এছাড়াও জোফ্রা আর্চার খেলবেন। এরপর ১০ নম্বরে মহিশ থিকসানা এবং ১১ নম্বরে সন্দীপ শর্মা থাকতে পারেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে আসতে পারেন তুষার দেশপাণ্ডে।
আরও পড়ুন-ভারত প্রথম টেস্টে জিতবে! জানতেন মহারাজ! লিড নিতেই করেছিলেন মাইকেল ভনকে টেক্সটও…
রাজস্থান রয়্যালসের শক্তি-
রাজস্থান দল যশস্বী জয়লওয়াল, রিয়ান পরাজ, সঞ্জু স্যামসন, ধ্রুব জুরেল এবং শিমরন হেতমায়েরের মতো পাঁচজন ব্যাটাকে দলে রাখার পাশাপাশি বোলার সন্দীপ শর্মাকেও রেখেছিল দলে। এরপর তাঁরা নীতীশ রানা, জোফ্রা আর্চার, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহিশ থিকসানার মতো ক্রিকেটারদের দলে নিয়ে রাজস্থানকে এবারে ভালোই শক্তিশালী বানিয়েছে। দলের ব্যাটিং লাইন আপ ভারতীয় নির্ভর হওয়ায় বিদেশি বোলারদের খেলাতে পারবে তাঁরা।
দলের দুর্বলতা-
রাজস্থান রয়্যাল দলে ভারতীয় জাতীয় দলের পেসারদের মধ্যে তেমন কেউ নেই। স্পিনাররাও অধিকাংশই বিদেশি। ফলে বোলিং ডিপার্টমেন্ট পুরোটাই বিদেশি নির্ভর। ভারতীয় উইকেটে সন্দীপ শর্মা বাদে আরও কয়েকজন অভিজ্ঞ ভারতীয় বোলার থাকলে সুবিধা হত। আর দ্বিতীয় স্লগ ওভারে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। কারণ ট্রেন্ট বোল্ট গতবার যে কাজটা করেছিলেন, এবারে রাজস্থানের হয়ে সেই কাজটা কে করবেন সেটা ভাবতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।