কখনও ফিল্ডিং সাজালেন! কখনও বাচ্চাদের মতো আনন্দ করলেন! পার্থে বিন্দাস মেজাজে বিরাট

বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে সাজঘরে ফিরতেই ভারতীয় দল চাপের মধ্যে পড়ে যায়। কোনও মতে অবস্থা সামাল দেন ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং ঋষভ পন্ত। ওরা লড়াই চালিয়ে যান। এরপর অবশ্য আসল সময় জ্বলে উঠলেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা নীতীশ রেড্ডি। এই ম্যাচে বিরাটের বিভিন্ন রূপ দেখা গেল। কখনও ফিল্ডিং সেট করলেন,কখনও স্লেজিং করলেন

পার্থ টেস্টের প্রথম দিনটা ব্যাট হাতে ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য খুব একটা ভালো যায়নি। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল করেন ০ রান, এরপর দেবদূত পাডিক্কাল নামতে নামতেই ফিরলেন সাজঘরে। জয়সওয়ানকে ফেরালেন স্টার্ক। আর দেবদূতকে আউট করলেন জোশ হেজেলউড। এরপর বিরাট কোহলি নিয়ে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও তিনি আউট হলেন মাত্র পাঁচ রানে, হেজেলউডের বলে।

বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে সাজঘরে ফিরতেই ভারতীয় দল চাপের মধ্যে পড়ে যায়। কোনও মতে অবস্থা সামাল দেন ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং ঋষভ পন্ত। ওরা লড়াই চালিয়ে যান। এরপর অবশ্য আসল সময় জ্বলে উঠলেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা নীতীশ রেড্ডি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে নিজের স্কিল দেখিয়েছিলেন, টেস্টে যে তিনি এত ভালো সেটা এতদিন বোঝা যায়নি। করেন ৪১ রান।

ম্যাচে রান না পেলেও অবশ্য প্রায় প্রতি ফ্রেমেই রইলেন বিরাট কোহলি। ভারত ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্লেজিংয়ে দাদাগিরিতে মাঠে নেমে পড়লেন বিরাট। পাশাপাশি বোলাররা উইকেট নিলেন সবার আগে দৌড়ে গেলেন আনন্দ উদযাপন করতে। দেখে মনে হবে না বয়সটা ৩৫ পেরিয়ে গেছে, যেন সেই ২৫শের ইয়ং অ্যাংগ্রি ম্যান।

তবে রোহিতের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব তুলে নিলেন তিনি। বারবার দেখা গেল জসপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে কথা বলতে। ম্যাচের লেনস অনেকবার তাক করল যখন দেখা গেল বিরাটই ফিল্ডিং সেট করে দিচ্ছিলেন। আসলে এখানে এসে যে তিনি অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জিতে গেছেন। তাই নিজের সব অভিজ্ঞতাই বুমরাহর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বিরাট।

স্টার স্পোর্টসের তরফ ম্যাচের ম্যাচের শেষে এক টিজার মতো প্রকাশ করা হল বিরাট কোহলির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুখভঙ্গীর ছবি। কখনও চিন্তায়, কখনও আনন্দে। যদিও একটি ভিডিয়ো সেখানে নেই, যেখানে অজি ক্রিকেটার মার্নাস ল্যাবুশেনের উদ্দেশ্যে বিরাটকে বলতেন শোনা যায় 'তুমি কি ব্যাট নিয়ে খেলতে নামো নি?' কারণ আউট হওয়া পর্যন্ত ৫২ বলে ২ রান করেছিলেন তিনি।