ভারতীয় ক্রিকেটের মিলিয়ন ডলার ক্রিকেট লিগ নামে পরিচিত আইপিএল। এই লিগের এতটাই জৌলুশ এবং বিশ্বব্যাপি দাপট যে বহুদেশই ওই সময় ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেন আইপিএলে খেলতে, শুধু তাই নয়। ক্রিকেটারদের তাঁরা জাতীয় দলেও রাখেন না। এই পরিস্থিতিতে জানা যাচ্ছে, গতবছরের আইপিএলে ব্যাপক হারেই লাভ করেছেন আইপিএল। ২০২০ সালে করোনাকালে প্রায় সব থেকে বন্ধ থাকলেও ক্লোজ ডোরে বিদেশের মাঠে নিয়ে গিয়ে আইপিএল আয়োজন হয়েছিল। ততদিনে ক্রিকেটবিশ্ব ভালোই বুঝে গেছিল এই লিগের অর্থনৈতিক শক্তি অন্যান্য দেশের লিগের তুলনায় অনেক অনেক বেশি। এই অবস্থায় এবার ২০২৩ অর্থবর্ষের আইপিএলের লাভের হিসেব প্রকাশ্যে এল। আর তা দেখেই চক্ষু চড়কগাছ অনেকের।
আইপিএল ২০২২ সালই ছিল করোনা পরবর্তী প্রথম আইপিএল। সেবার তার আগের বারের তুলনায় লাভের পরিমাণ বেশি ছিল। কিন্তু এরপর থেকেই সেই লাভের শতাংশ উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থেকেছে। ২০২৩ সালে আয়ের অঙ্ক ছিল ৫১২০ কোটি টাকা। এর আগে বছর পর অর্থাৎ ২০২২ সালের আইপিএলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই লিগ থেকে আয় করেছিল ২৩৬৭ কোটি টাকা, অর্থাৎ এক বছরে ২০২৩ সালে আয়ের শতাংশ ১১৬ গুন বৃদ্ধি পায়।
জানা যাচ্ছে ২০২৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আইপিএল থেকে আয় ছিল মোট ১১৭৬৯ কোটি টাকার অর্থাৎ ৭৮ শতাংশ হারে আয় বেড়েছিল। ২০২৩ সালে খরচ হয়েছিল ৬৬৪৮ কোটি টাকা, এক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ টাকার খরচ বেড়েছিল। জানা যাচ্ছে নতুন সম্প্রচারসত্ত্ব এবং স্পন্সরশিপ ডিলের জন্যই লাভের পরিমাণ এবং আয়ের পরিমাণ বেড়েছে বোর্ডের। ২০২৩ আইপিএল থেকে নতুন স্পন্সশিপ পেয়েছে আইপিএল, যারা ২০২৩ থেকে ২৭ আইপিএল পর্যন্ত দেবেন ৪৮৩৯০ কোটি টাকা।আইপিএলের টেলিভিশন সম্প্রচারসত্ত্ব রয়েছে ডিজনি স্টারের কাছে, তাঁরা ২০২৩ থেকে ২৭ আইপিএল পর্যন্ত দেবে ২৩৫৭৫ কোটি টাকা। এদিকে ডিজিটাল সত্ত্ব রয়েছে জিও সিনেমার কাছে, তাঁর ২৩৭৫৮ কোটি টাকা দেবে। টাটা সন আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হওয়ার জন্য দেয় ২৫০০ কোটি টাকা।
একিদে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এক সূত্র মারফত জানা গেছে, আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল পাঠানো হবে না। দুবাই অথবা শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় দল খেলতে রাজি রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিককালে সম্পর্ক একদম তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের পক্ষে ম্যাচ খেলা সম্ভব নয় বলে আইসিসিকে জানাচ্ছে বোর্ড, দাবি করা হয়েছে সেই সূত্র মারফত।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যাতে একটি শহরেই তাঁরা ম্যাচ খেলে। তবে ২০০৮ সালের পর আর সেখানে ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতীয় ক্রিকেট দল। পাক বোর্ড ঠিক করেছিল লাহোরে ভারতের সব ম্যাচ আয়োজন করা হবে। তবে সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি বিসিসিআই।