আইপিএলের ফাইনালে রবিবার মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ম্যাচের আগে কাউকেই এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। যে রাজস্থান কলকাতাকে ইডেনে এসে হারিয়ে গেছিল, তাদেরই হারিয়ে ফাইনালে এসেছে নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। সঙ্গে প্যাট কামিন্সের দলের উপরি পাওনা বোলার অভিষেক শর্মা। এতদিন আইপিএলে ব্যাটার হিসেবেই পঞ্জাব তনয়কে দেখেছিল সকলে, কিন্তু শুক্রবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে অনবদ্য বোলিংয়ের সৌজন্যে হায়দরাবাদ শিবিরে তিনিই এখন অন্যতম অলরাউন্ডার। কেকেআরের বিরুদ্ধে শুধু ব্যাট হাতে ওপেনিং নয়, বল হাতেই তাঁর স্পিনিং স্পেল দেখতে চলেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এবারের আইপিএলে খুব বেশি বোলিং না করলেও কোয়ালিফায়ার ২-তে ২৪ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন অভিষেক। এরপরই জানা গেল, ব্যাটার অভিষেক কার টোটকায় বোলার হয়ে উঠে ছিলেন।
আরও পড়ুন-IPL 2024-ক্রিকেট ছেড়ে হঠাৎই অটোওয়ালার ভূমিকায় শ্রেয়স, পিছনে বিশ্বকাপজয়ী কামিন্সও, ভিডিয়ো
পঞ্জাবের ২৩ বছর বয়সী এই বিধ্বংসী ব্যাটারের গুরু ছিলেন ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম যুবরাজ সিং। ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপে ৬ বলে ৬টি ছয় মারার পাশাপাশি ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারিগর ছিলেন তিনি, কারণ স্রেফ ব্যাট হাতে নয় বল হাতে দলকে দিয়েছিলেন বড় সাফল্য। একজন অলরাউন্ডারের যা দায়িত্ব, বিশ্বকাপে সেটাই পালন করেছিলেন যুবি। পরবর্তীতে শিষ্য অভিষেককেও পেপ টক দিয়েছিলেন ভারতের জোড়া বিশ্বকাপজয়ী নায়ক, আর তাতেই বদলে যায় অভিষেকে জীবন।
কোয়ালিফায়ারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সঞ্জু স্যামসন এবং শিমরন হেতমায়েরকে আউট করা অভিষেক শর্মা, ফাইনাল ম্যাচের আগে বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে যখনই যুবি পাজির কথা হত, তখনই আমায় বলত আমি তাঁর থেকেও ভালো বোলার হব। আমি সব সময়ই ওই কথাটা মাথায় নিয়ে চলি। আমি বোলিংয়ে দলকে সমৃদ্ধ করতে পারলে উনিও যথেষ্ট খুশি হবেন। আমার বাবাও বাঁহাতি স্পিনার ছিল, তাই আমার সাফল্যে উনিও খুব খুশি হবেন। আমি আমার বলে নজর দিচ্ছি, কারণ আমায় মনে হয়েছে যে বোলিংয়েও আমি কিছু করতে পারব, জুনিয়র ক্রিকেটেও আমি বল করতাম, আর অনেক উইকেটও নিতাম ’।
আরও পড়ুন- ‘মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়ছি’, বলেও রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে জল্পনা বজায় রাখলেন এমবাপে
শাহবাজের সঙ্গে অভিষেকের জুটি গত ম্যাচে সানরাইজার্সকে অনেক সাহায্য করেছিল ম্যাচ জিততে। নাইট রাইডার্সেও রয়েছে দুজন কোয়ালিটি স্পিনার সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তী। ফলে আইপিএল ফাইনালে যে স্পিনার অলরাউন্ডার সুনীল নারিন বনাম অভিষেক শর্মার লড়াইটা বেশ ভালোই জমবে, তা বলাই বাহুল্য।