বিশ্বক্রিকেটে আর খেলতে দেখা যাবে না জেমস অ্যান্ডারসনকে। ফাস্ট বোলিংয়ের ক্ষেত্রে জিমির ক্লাস উপভোগ করতেন গোটা বিশ্বের ক্রিকেটভক্তরা। আসলে তাঁর যার দক্ষতা ছিল, তাতে অস্বীকার করতে পারতেন না কোনও ক্রিকেট অনুরাগী। সেই কারণে ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের মধ্যেও একমাত্র জিমিয় ছন্দময় বোলিংয়ের প্রতি আলাদা আকর্ষণ ছিল। তবে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, লর্ডসের মাটিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি বল হাতে মোটের ওপর সফল। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আড়াই দিনের আগেই ক্যারিবিয়ান বধ করে সিরিজে এগিয়ে গেছে ইংরেজরা। বিশ্বক্রিকেটে একাধিক বিরল নজির রয়েছে জিমির।
আরও পড়ুন-১৮৮ টেস্ট,৭০৪ উইকেট! অ্যান্ডারসন যুগের অবসানের দিনে ফিরে দেখা পাঁচটি বিরল রেকর্ড
একঝলকে জেমস অ্যান্ডারসনের সেরা ৫ নজির-
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৭০৪টি উইকেটের মধ্যে ২৪৯টি উইকেট তিনি নিয়েছেন কন বিহাইন্ডের মধ্যে দিয়ে অর্থাৎ উইকেটরক্ষক ক্যাচ ধরেছেন। এছাড়া সব থেকে বেশি বোল্ড আউট করার নিরিখেও টেস্টে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জিমি, করেছেন ১৩৭বার বোল্ড আউট। এখানে সবার আগে রয়েছেন মুত্থাইয়া মুরলিধরন, তিনি ১৬৭বার বোল্ড আউট করেছেন।
পেসারদের মধ্যে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফাইফার নেওয়ার নজির রয়েছে জেমস অ্যান্ডারসনের। এক ইনিংসে ৩২বার পাঁচটি করে উইকেট নিয়েছেন জিমি, তাঁর সামনে রয়েছেন ৩৫টি ফাইফার নেওয়ার স্যার রিচার্ড হার্ডলি
আরও পড়ুন-অবসরের দিনেও তরতাজা জিমি! ম্যাচ শেষে চুটিয়ে ক্রিকেট খেললেন স্টোক্সের পুত্র-কন্যাদের সঙ্গেও
টেস্টে চারজন ক্রিকেটারের নজির রয়েছে একটি ভেনুতে ১০০-র বেশি উইকেট নেওয়ার। রঙ্গনা হেরাথ, মুত্থাইয়া মুরলিধরন এবং স্টুার্ট ব্রডের পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে তাঁরও ঝুলিতে রয়েছে এক ভেনুতে(লর্ডসে) ১০০ উইকেটের নজির।
জোরে বোলারদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক জেমস অ্যান্ডারসনই। তাঁর সামনে ৭০৪ উইকেট নিয়ে রয়েছেন প্রয়াত অস্ট্রেলয়িান কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন এবং ৮০০ উইকেট নিয়ে সবার আগে রয়েছেন মুরলিধরন। তবে তাঁরা দুজনেই স্পিনার, অ্যান্ডারসন পেসারদের মধ্যে সবার আগে।
আরও পড়ুন-‘এতদিন ওর বিরুদ্ধে খেলেছি, এবার ওর কোচিংয়ে খেলব’! গম্ভীরকে স্বাগত জানিয়ে বললেন অক্ষর
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট ম্যাচ খেলার নজিরও রয়েছে জিমির। সচিন তেন্ডুলকর সর্বোচ্চ ২০০টি টেস্টে দেশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন, ১৮৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। এহেন বর্ণময় কেরিয়ারেই ইতি পড়ল শুক্রবার লর্ডসের মাটিতে। আর কয়েকটা ম্যাচে সুযোগ পেলে বহু রেকর্ডই হয়ত গড়তে পারতেন তিনি। কিন্তু সেটা না হলেও, এতদিনে তিনি যা অর্জন করেছে সেটাই মানুষের মনে দাগ কেটেছে, তা বলাই বাহুল্য।