বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ভারতীয় টেস্ট দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা। মূলত দলীপ ট্রফিতে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকেই সেপ্টেম্বর মাসে হতে চলা ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। জসপ্রীত বুমরাহ, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা প্রত্যাবর্তন করলেও দলে সুযোগ হয়নি কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের। এছাড়াও স্কোয়াডে রাখা হয়নি তারকা পেসার মহম্মদ শামিকেও। ভারতীয় পেসারের তাও চোট রয়েছে বলে তাঁর দলে সুযোগ না পাওয়া মেনে নেওয়া গেলেও শ্রেয়স আইয়ারের বাংলাদেশ সিরিজে না সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও নির্বাচকদের মতে, একান্তই পারফরমেন্সের নিরিখে বাদ পড়েছেন এই ক্রিকেটার।
সদ্য সমাপ্ত দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ার অর্ধশতরান করেছিলেন, ফলে তিনি হয়ত আশা করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিমিত ওভারের সিরিজের পর এবার টেস্টেও প্রত্যাবর্তন হতে পারে তাঁর। যদিও শ্রেয়সের ক্ষেত্রে লাল বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার অভাবই তাঁকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দলে সুযোগ দিল না। দলীপ ট্রফির প্রথম ইনিংসে ছন্দে ছিলেন না ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার। বুচিবাবু টুর্নামেন্টেও মুম্বইকর ব্যাটারের ব্যাটে তেমন রান আসেনি। এই আবহে সরফরাজ খান, যিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ভালো খেলেছিল তাকেই সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচকরা। এছাড়া লোকেশ রাহুল তুলনামুলকভাবে ভালো টাচে থাকায় তাঁকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
মহম্মদ শামির দলে না আসার অবশ্য মূল কারণ চোট। গত মাসে একবার অজিত আগরকর বলেছিলেন শামি ফিট থাকলে বাংলাদেশ সিরিজে দেখে নেওয়া হতে পারে। তবে এখনও শামির ফিটনেসের যা অবস্থা তাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শুরুতেও হয়ত পাওয়া যাবে না তাঁকে। বরং বাংলা দলের হয়ে রঞ্জিতেই খেলে নিজেকে ফিট প্রমাণ করে জাতীয় দলে ঢুকতে পারেন শামি। সেক্ষেত্রে অক্টোবরে রঞ্জি ট্রফিতে নামার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ফিরতে পারেন ভারতীয় দলের স্টার পেসার।
অক্টোবরের ১১ তারিখ থেকে শুরু রঞ্জি ট্রফি। সেখানে খেলে নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেলতে পারেন শামি। আসলে এরপর বহুকাঙ্খিত বর্ডার গাভাসকর ট্রফি রয়েছে আর তারপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই কারণেই কোনওভাবে শামিকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বোর্ড। জোরে বোলারদের এমনিতেই ওয়ার্ক লোড বেশি হয়। টানা টেস্ট খেলানোর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থাকায় আধা ফিট প্লেয়ারকে খেলানোর পরিণাম খুব খারাপ হতে পারে। সেই কারণেই তাঁঁকে আপাতত দলের বাইরেই রাখছেন নির্বাচকরা।