নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পরে ফ্যানদের প্রতিক্রিয়ায় হতবাক হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে ভারতের তারকা অফস্পিনার প্রশ্ন করেন যে কীভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হল? ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে যে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার মুখে পড়েছে ভারতীয় দল, সেটার ফলে টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের থেকে আর কেউ বেশি কষ্ট পাননি। ভারতের লজ্জার হারের পরে টিম ইন্ডিয়ার ফ্যানদের যে কষ্ট হয়েছে, সেটা অনুভব করতে পারছেন। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে যে খেলোয়াড়রা ছিলেন, তাঁদের থেকে ফ্যানদের কষ্টের মাত্রা কখনওই বেশি হতে পারে না বলে দাবি করেছেন ভারতের তারকা অফস্পিনার।
‘স্যার, এটা স্পোর্টস’, সাফ কথা অশ্বিনের
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিউজিল্যান্ড সিরিজের ময়নাতদন্তের মধ্যেই অশ্বিন বলেন, 'লোকজনের প্রতিক্রিয়া যেমন ছিল, সেটা হজম করতে পারার বিষয়টা খুব কঠিন ছিল। ওঁরা কীরকম আচরণ করছিলেন? ক্ষমা চাইতে বলা হচ্ছিল। স্যার, এটা স্পোর্টস। এটা স্পোর্টস। আমি শুধু একটা জিনিস বলতে চাই। প্রত্যেকেরই (এই হারটা) বুকে বিঁধেছে। প্রত্যেকেই কষ্ট পেয়েছে।'
‘….কেউ সন্দেহ করলে সেটা অপরাধ’, ক্ষুব্ধ অশ্বিন
ভারতের তারকা অফস্পিনার বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফ্যান হিসেবে প্রত্যেকেই কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু আপনাদের কাছে আমি প্রতিজ্ঞা করে বলতে পারি যে ড্রেসিংরুমে থাকা খেলোয়াড়দের থেকে কেউ বেশি কষ্ট পেতে পারেন না। কোনও সম্ভাবনাই নেই। সেই কষ্ট পাওয়া নিয়ে যদি কেউ সন্দেহপ্রকাশ করেন, তাহলে সেটা অপরাধ। সেটা করা উচিত নয়।’
তবে অশ্বিন এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁরা যে খেলাটা খেলেছেন, সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত জিততে পারেনি ভারত। আর সেটা জয়ের অধিকারও ছিল না। অশ্বিনের কথায়, ‘(আমরা যে খেলাটা খেলেছি), সেটা যথেষ্ট ছিল না। সেটা সবসময় মেনে নিই। কারণ খেলোয়াড়রা (মাঠেই) কেরিয়ার তৈরি করে। আর মাঠে যে কাজটা করে, সেটার উপরে তাদের কেরিয়ার নির্ভর করে। তাই কোনও খেলোয়াড়ের চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া করা উচিত নয় কারও। চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া করার বিষয়টি অত্যন্ত আঘাত দেয়।’
আহামরি খেলেননি অশ্বিনও
এমনিতে অশ্বিন যে সিরিজে হারের কথা বলছেন, তাতে ০-৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। যা টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে তিন বা তার বেশি সংখ্যক ম্যাচ সিরিজে প্রথম হোয়াইটওয়াশ ছিল। ওই সিরিজে অশ্বিন নিজেও আহামরি ছন্দে ছিলেন না। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা ছন্দে ফিরেছিলেন। কিন্তু সেটা বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছিল। আর চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার সময় একটা বাজে শট মেরে আউট হয়ে যান। ওই সময় ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে অশ্বিন যদি থাকতেন, তাহলে ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার মুখে পড়তে হত না।