হর্ষিত রানাকে ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে নিজের বোলিংয়ের মাধ্যমে সকলকে চুপ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন হর্ষিত, দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ১টি উইকেট। তবে তাঁর যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না। একটা সময় তাঁকে রাজ্য স্তরের ক্রিকেট খেলার যোগ্য মনে করেনি দিল্লি ক্রিকেট বোর্ড। এমনকী কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২০২২ সালে অভিষেক হওয়ার ৭ মাস পর দিল্লির হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরেও দু’বার প্রত্যাখ্যান হতে হয়েছে তাঁকে।
এটা ২০২১-এর ঘটনা। তখন দেশ জুড়ে কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। রাজ্য স্তরের অনূর্ধ্ব ১৯ দলে জায়গা না করে নিতে পেরে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার অমিত ভান্ডারির সঙ্গে। তিনি সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হর্ষিত রোহতক রোডে ক্রিকেট খেলত, ও একদিন দক্ষিণ দিল্লির জ্ঞান ভারতী স্কুলে উপস্থিত হয়। সে আমার কাছে আসে এবং বলে আমায় দয়া করে পেস বোলিংয়ের কলা শেখান।’
ভান্ডারি দাবি করেছেন, হর্ষিত পেস বোলিং করতে জানতেন, তিনি তাঁর কাছে কিভাবে খেলার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেবেন সেই বিষয়টি শিখতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘জিম করার কারণে ওর শরীরের উপর ভাগ খুবই শক্তিশালী ছিল। ওর আপ রাইট সিম পজিশন স্বাভাবিক ভাবে আসছিল। তার বোলিং অ্যাকশন এমন যার কারণে ও সহজে চোট-আঘাত পাবে না। সেই কারণে আমরা ওর অ্যাকশন নিয়ে যাবতীয় আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছিলাম। সে খুব দ্রুত নয়, তবে ভারী বল করতে সক্ষম। ও লাগাতার ১৩৫ কিমি বেগে বল করতে পারে, ভালো ছন্দে থাকলে ১৪০ বা তার থেকে বেশি জোরেও বল করতে সক্ষম। আমরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে বোলিং করতে হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করি। ১টি উইকেট রেখে তাতে নতুন এবং পুরোনো বল দিয়ে বল করার প্রশিক্ষণ দিই। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।’
ভান্ডারি আরও যোগ করেন, ‘ও যেকোনও রকম চাপ সহ্য করতে পারদর্শী। সে ওখান থেকে গুজরাট টাইটানস দলের নেট বোলার হিসেবে যোগ দিয়েছিল। ও হয়তো পার্থে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে একটু সমস্যায় পড়েছিল, তবে আমি আপনাকে এটা বলতে পারি ও সহজে ভারতের ড্রেসিংরুম ত্যাগ করবে না। সে আরও কঠোর পরিশ্রম করবে ভালো বল করার জন্য।’