প্রত্যাবর্তনের পরে ১০ ওভার বল করলেন মহম্মদ শামি। বুধবার রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুটি স্পেল মিলিয়ে ১০ ওভার বোলিং করেন ভারতের তারকা পেসার। প্রথম স্পেলে চার ওভার বল করেন। খরচ করেন ১০ রান। দ্বিতীয় পেলে ছয় ওভার বল করে ১৮ রান খরচ করেন। একটি মেডেন দেন। সবমিলিয়ে ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়েছেন শামি। ডট বল করেছেন ৪৬টি। তবে শামিকে দেখে এখনও পুরো ছন্দে মনে হয়নি। আগে যেমন বল নিখুঁত ছন্দে এসে বল করতেন, সেই জায়গায় যে এখনও পৌঁছাননি, তা ইন্দোরে বোঝা গিয়েছে।
পুরো ছন্দ না পাওয়াই স্বাভাবিক
যদিও সেটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ ৩৬০ দিন পরে প্রথমবার কোনও পেশাদারি ক্রিকেট ম্যাচে খেলতে নেমেছেন শামি। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে শেষ বোলিং করেছিলেন। আর লাল-বলে তো শেষ খেলেছিলেন সেই ২০২৩ সালের জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। এক বছর মাঠের বাইরে থাকার পরে স্বভাবতই কোনও পেসারকে একদম পুরো ছন্দে পাওয়া যাবে না। শামির ক্ষেত্রেও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি।
শামি ঠিক থাকলে অ্যাডিলেডে নামানো হোক, পরামর্শ ভোগলের
তবে শামি অবশেষে ম্যাচ খেলতে নামায় ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানরা উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছেন। কেউ-কেউ তো আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন যে সবকিছু যদি ঠিকঠাক যায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে পারেন শামি। একইসুরে ধারাভাষ্যকার তথা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হর্ষ ভোগলে বলেছেন, 'প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শামির প্রত্যাবর্তনের খবরটা দুর্দান্ত। ও যদি ঠিকমতো তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে (অস্ট্রেলিয়ায়) প্রথম এবং দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে যে ম্যাচটা আছে, সেটাকে টার্গেট করা উচিত। (ওই ম্যাচটা খেলে) অ্যাডিলেডের দিনরাতের টেস্টের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে।'
শামি কি আদৌও পারবেন?
আর সেই দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্য শামির শরীর কতটা দেবে, সেটা নিয়েই যাবতীয় প্রশ্ন আছে। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে পার্থে প্রথম টেস্ট শুরু হবে।সেটা শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৬ নভেম্বর। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ক্যানবেরায় প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে দু'দিন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। তারপর আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।
ততদিনের মধ্যে শামি নিজের পুরো ছন্দ আদৌও ফিরে পাবেন কিনা, তা নিয়ে ধন্দ আছে। বিশেষত আজ যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতে রান-আপটাও ঠিক শামিসুলভ ছিল না। যেরকম ছন্দে বোলিং করতেন, ঠিক সেই ছন্দটা ছিল না। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে পুরো ছন্দ ফিরে পেয়ে পাঁচদিনের ম্যাচ খেলার ধকল নেওয়ার মতো জায়গায় যাবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।