টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরাট কোহলির ৭৬ রানের ইনিংস নিয়ে সকলেই চর্চা করেছেন। ভারতীয় দল এক সময় প্রায় হারতে বসা ম্যাচেই অনবদ্য ঢংয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে। রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব থেকে সূর্যকুমার যাদবের দুরন্ত ক্যাচ, সঙ্গে হার্দিক পাণ্ডিয়ার তিন উইকেট নেওয়া তো রয়েছেই। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়ে ধারাবাহিকতা দেখানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ফাইনালেও জসপ্রীত বুমরাহ এবং আর্শদীপ সিং ছিলেন অনবদ্য। অর্থাৎ ভারতীয় দল টিম গেমেই বাজিমাত করেছে। বিরাট কোহলি গোটা প্রতিযোগিতায় একটা ম্যাচেও ঠিকঠাক রান না পেলেও আসল সময়ই ঠিক জ্বলে ওঠেন তিনি। করেন দুরন্ত ৭৬ রানের ইনিংস, তাও কঠিন পরিস্থিতিতে। পরপর উইকেট হারিয়ে যখন ভারতীয় দল চাপে পড়ে গেছিল, তখনই বিরাটকে সঙ্গ দেন অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু কার ভোকাল টনিকে তিনি খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস? জানালেন অক্ষর।
আরও পড়ুন-ভারতের অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন ছাত্র! আগেই অনুমান করে সূর্যকুমারকে টেক্সট করেন ছোটবেলার কোচ…
টি২০ বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার পর থেকেই যেখানেই রোহিত, অক্ষররা গেছেন তাঁদের সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। এরই মধ্যে অক্ষর প্যাটেল জানালেন বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় দলের টপ অর্ডারের ব্যর্থতার সময় ঠিক কি পরিস্থিতি ছিল ড্রেসিং রুমে। কীভাবে তাঁকে প্রমোট করা হয়েছিল টপ অর্ডারে। নিজেই বা কতটা চাপ অনুভব করেছিলেন তিনি। ৩৪ রানে ভারতের তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর, পাল্টা প্রোটিয়াদের বোলারদের বিপক্ষে দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন অক্ষর। খোলস থেকে বেড়িয়ে করেন ৩১ বলে ৪৭ রান।
আরও পড়ুন-জল্পনার অবসান! মোহনবাগান ছাড়লেন আর্মান্দো সাদিকু…এফসি গোয়ায় পথে আইএসএল শিল্ডজয়ী তারকা
অক্ষর প্যাটেল এক সাক্ষাৎকারে ফাইনাল প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘রোহিতভাই আমার পাশেই দাঁড়িয়েছিল যখন ঋষভ পন্ত আউট হল। তখনই আমায় বলেছিল, অক্ষর যা গিে প্যাড পড়ে নে। এরপর যুজবেন্দ্র চাহালও দৌড়ে এসে আমায় বলে, রাহুল দ্রাবিড় আমায় প্যাড পড়তে বলেছেন। যখন প্যাড পড়ছিলাম, তখন বুঝতে পারছিলাম না কি করব, কারণ ততক্ষণে দু উইকেট পড়ে গেছে, আর আমি পিচও সেভাবে অ্যানালিসিস করতে পারিনি ’।
অক্ষর প্যাটেল আরও বলছেন, ‘এরপর আমি দেখলাম সূর্যকুমার যাদবও আউট হয়ে গেল। এত তাড়াতাড়ি সব হয়ে গেছিল যে কিছুই বুঝে ওঠার সময় পাইনি। এরপর সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হার্দিক আমায় গুজরাটিতে বলেছিল, চাপ না নিতে। বল ভালো করে দেখে হিট করতে, আর সেটাই আমার মাথায় ঘুরছিল। আমি প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারায় আত্মবিশ্বাসি হয়ে গেছিলাম। বিরাট কোহলি বারবার আমায় পরামর্শ দিচ্ছিল। বিরাট বলেছিল, চিন্তার কিছু নেই, আমি আছি। যদিও তোমার মনে হয় হিট করতে চাও, তাহলে হিট করতে পারো। বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলাটা অনেক সাহায্য করেছিল,বাকিটা এখন ইতিহাস’।