তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনোর আগে আর মাত্র ৭ মিনিট সময় ক্রিজে কাটালেই বিশ্বরেকর্ড গড়তেন জিৎ রাভাল। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৪টি টেস্ট খেলা তারকা অল্পের জন্য হাতছাড়া করেন ধীরতম ফাস্ট ক্লাস সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড।
মাউন্ট মাউনগানুইয়ে প্লাঙ্কেট শিল্ডের ম্যাচ ছিল নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের মধ্যে। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের ক্যাপ্টেন জিৎ রাভাল ১১ বলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি লড়াকু শতরান করেন।
জিৎ ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ২১৫ বলে। সাহায্য নেন ৪টি বাউন্ডারির। তিনি ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে শতরানের গণ্ডি টপকান ৩৬৬ বলে। ৫৫১ মিনিট, অর্থাৎ ৯ ঘণ্টা ১১ মিনিট ব্যাট করার পরে শতরান পূর্ণ করেন জিৎ।
ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে সব থেকে বেশি সময় ক্রিজে কাটিয়ে শতরানের বিশ্বরেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের মুদাসসর নজরের। তিনি ৫৫৭ মিনিটে ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি করে ধীরতম শতরানের সর্বকালীন নজির গড়েন। ১৯৭৭ সালে লাহোরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে এমন কাণ্ড ঘটান নজর। সুতরাং, মাত্র ৭ মিনিটের জন্য ৪৭ বছর আগের সেই রেকর্ড ভাঙা হয়নি রাভালের।
জিৎ রাভাল শেষেমশ ৩৯৬ বলে ১০৭ রান করে আউট হন। তিনি ক্রিজে কাটান সাকুল্যে ৯ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট সময়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে জিৎ রাভালের থেকেও ধীর (বেশি সময়ে) শতরান রয়েছে আর একজন ব্যাটারের। তিনি আবার একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। ২০০১ সালে চেন্নাইয়ে তামিলনাড়ুর হয়ে কেরলের বিরুদ্ধে এস রমেশ ৫৫৬ মিনিটে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। সব মিলিয়ে সব থেকে ধীর শতরানের নিরিখে তালিকার তিন নম্বরে জায়গা করে নেয় জিৎ রাভালের এই ইনিংস।
নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস বনাম সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ম্যাচের ফলাফল
শুরুতে ব্যাট করে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস তাদের প্রথম ইনিংসে ২০৪ রান তোলে। ভরত পপলি ৬১, সন্দীপ প্যাটেল ৪৫ রান করেন। সেন্ট্রালের হয়ে প্রথম ইনিংসে একাই ৫টি উইকেট নেন উইলিয়াম ক্লার্ক।
পালটা ব্যাট করতে নেমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রান তোলে। ১০৮ রান করেন ব্র্যাড। ১০৯ রান করেন উইলিয়াম ক্লার্ক। ম্যাথিউ ফিশার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের হয়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ৭ উইকেটে ৩৬২ রান তুললে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়।