আগামী বছর পাকিস্তানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে তুমুল আলোচনায় রয়েছে। এদিকে পাকিস্তান দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার রশিদ লতিফের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিয়োতে রশিদ লতিফ প্রকাশ করেছেন ভারতের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথা। আসলে ভারতের সঙ্গে যে নাড়ির টান রয়েছে সেটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার। এই বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন রশিদ লতিফ।
উত্তরপ্রদেশ থেকে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন রশিদ লতিফ-
ভারতের সঙ্গে নিজের কানেকশন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। রশিদ করাচিতে আব্দুল লতিফ কুরেশির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি (আব্দুল লতিফ কুরেশি) উত্তরপ্রদেশ থেকে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। ভারতে তার পরিবার সম্পর্কে আরও কথা বলতে গিয়ে রশিদ লতিফ বলেছিলেন যে তার ভাইয়েরা ভারতেই থেকে গিয়েছেন, তার পরিবারের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এখনও ভারতের সুলতানপুরে থাকেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন এই উইকেটরক্ষক বলেছেন, রাজনীতিতে, ব্রেন এবং গালিগালাজে উত্তরপ্রদেশ এক নম্বরে থাকবে। তিনি সেখান থেকেই এসেছেন। তাই তাঁর সঙ্গে কেউ যেন ঝামেলা করার কথাও না ভাবেন।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: বিমানবন্দরে আটকে পড়লেন যশস্বী! অ্যাডিলেডে আসার আগে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে কী ঘটল?
ভারতের সঙ্গে তাঁর নাড়ি যোগের কথা বলেন রশিদ লতিফ-
রশিদ লতিফ বলেন, ‘দেশ ছেড়ে যাওয়া মানেই মানুষ তাকে ভুলে যায় না। আমাদের রং নীলই থাকবে। দেশ ছাড়ার মানে এই নয় যে আমরা নিজেদের মানুষকে ভুলে যাব। আমাদের রং নীলই থাকবে, তাই নয় কি? আমার এক ভাই সুলতানপুরে থাকেন এবং আমার পরিবারের ৯০ শতাংশ মানুষ সেখানেই থাকেন।’ ভিডিয়োতে লতিফ আরও বলেন, ‘ব্রিটিশরা কোনও কারণ ছাড়াই উত্তরপ্রদেশকে ‘আপার প্রভিনস’ (উচ্চ প্রদেশ) নাম দেয়নি। পরে সেটা উত্তরপ্রদেশ হয়েছে। রাজনীতিতে, ব্রেন এবং গালাগালিতে উত্তরপ্রদেশ এক নম্বরে থাকবে। আমিও সেখান থেকেই এসেছি। তাই আমার সঙ্গে কেউ পাঙ্গা নেবেন না (ঝামেলা করার কথাও ভাববেন না) ভাই।’
দেখুন সেই ভিডিয়ো-
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: পিঙ্ক বল টেস্টের আগে নেটে চার-ছক্কায় ডিল করছেন, সামনে এল ট্র্যাভিস হেডের অনুশীলনের ছবি
ক্রিকেটে লতিফের পারফরম্যান্স এমনই হয়েছে
পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফ ১৯৯২ সালে পাকিস্তান দলের হয়ে অভিষেক করেন। দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০০৩ সালে। এই সময়ের মধ্যে ৫৬ বছর বয়সি লতিফ ৩৭টি টেস্ট ম্যাচে ১৩৮১ রান করেছিলেন। একইভাবে ১৬৬টি ওয়ানডেতে করেছেন ১৭০৯ রান। একই সময়ে, তিনি ১৫৬টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০৯৪ রান এবং ২৪৯টি লিস্ট-এ-তে ৩১০৮ রান করেছেন তিনি।