আইপিএল ২০২৫ নিলামের আগে ব্যাটসম্যান নীতীশ রানা তার আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। নীতীশ রানা বলেছেন যে তিনি শুধুমাত্র কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলতে চান। তবে কেকেআর তাঁকে ধরে রাখবে কিনা সে বিষয়ে নীতীশ রানা স্পষ্ট নন। তারকা ব্যাটার বলেছেন এই বিষয়ে তিনি কেকেআর ম্যানেজমেন্ট থেকে এখনও কোনও কল পাননি। তিনি সাত বছর ধরে কেকেআরের অংশ ছিলেন। শ্রেয়স আইয়ারের চোটের পরে নীতীশ রানা আইপিএল ২০২৩-এ কেকেআর-এর অধিনায়কত্ব করেছিলেন। ওই মরশুমে পয়েন্ট টেবিলে সপ্তম স্থানে ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি। তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন… ICC Women's T20I Rankings: হরমনপ্রীতের লম্বা জাম্প, পিছিয়ে পড়লেন স্মৃতি-দীপ্তিরা
কী বললেন নীতীশ রানা?
সেই ২০১৮ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে খেলছেন নীতীশ রানা। পঁচিশের আইপিএলে কি তাঁকে বেগুনি-সোনালি জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে? নীতীশ রানা খেলতে চান শাহরুখের টিমেই। আর কেকেআর কি তাঁকে রাখার কথা ভাবছে? এই নিয়ে কী বললেন নীতীশ রানা? নীতীশ রানা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমি গত সাত বছর ধরে কেকেআর-এর অংশ ছিলাম। আমাকে ধরে রাখা হবে কি না তা আমার হাতে নেই। এই সিদ্ধান্তটা কেকেআর ম্যানেজমেন্টকে নিতে হবে। তবে আমি এখনও কোনও ফোন পাইনি। আমি প্রতি বছর কেকেআরের হয়ে রান করেছি, তাই তারা যদি আমাকে সম্পদ বলে মনে করে, তবে তারা আমাকে ধরে রাখবে। আমি কেকেআর-এর হয়ে খেলতে চাই।’
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: ক্রিস ওকসের অসাধারণ ক্যাচ, বাতিল করলেন আম্পায়ার! PAK vs ENG ম্যাচে নতুন বিতর্ক
কোন ফ্র্যাঞ্জাইজির হয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করেছিলেন নীতীশ রানা-
নীতীশ রানা ২০১৬ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) এর হয়ে আইপিএলে অভিষেক করেছিলেন। তিনি MI এর সঙ্গে দুটি সিজনে ছিলেন এবং ২০১৮ সালে কেকেআর-এ যোগ দেন। তিনি ১০৭টি আইপিএল ম্যাচে ২৬৩৬ রান করেছেন। যার মধ্যে ১৮টি অর্ধ শতরান রয়েছে। কেকেআর ২০২৪ সালে আইপিএল ২০২৪-এ ট্রফি জিতেছিল।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: জিতল একজন, পয়েন্ট পেল অন্যজন! Shanghai Masters-এ চেয়ার আম্পায়ারের ভুল, শুরু নতুন বিতর্ক
আইপিএল-এ ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়ম কী?
আইপিএল ২০২৫ নিলামের জন্য দলগুলিকে ধরে রাখার চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ অক্টোবর করে দেওয়া হয়েছে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা যৌথভাবে রিটেনশন এবং রাইট টু ম্যাচ (RTM) বিকল্প বেছে নিতে পারে। নিয়ম অনুসারে, একটি আরটিএম সহ সর্বাধিক ৬ জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখা যেতে পারে। সর্বোচ্চ পাঁচজন ক্যাপড এবং সর্বোচ্চ দুইজন আনক্যাপড খেলোয়াড় থাকতে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজি দুটি খেলোয়াড়কে ১৮ কোটি টাকায় এবং দুই জনকে ১৪ কোটি টাকায় এবং একজনকে ১১ কোটি টাকা দিয়ে ধরে রাখতে পারে। আনক্যাপড চার কোটি টাকায় পুনরায় ক্রয় করা যেতে পারে।