পার্থে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারক ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তানি দল। ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটাই পাকিস্তানের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফের ঝোড়ো বোলিংয়ে পাকিস্তান দল ক্যাঙ্গারুদের মাত্র ১৪০ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল। এরপর তারা সহজেই মাত্র ২৬.৫ ওভারে লক্ষ্য অর্জন করে। ম্যাচের ও সিরিজের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের পেস বোলার হ্যারিস রউফ।
কী বললেন হ্যারিস রউফ?
ম্যাচের ও সিরিজের সেরা হয়ে হ্যারিস রউফ বলেন, ‘প্রথমত, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, এর অর্থ অনেক, আমরা গত কয়েক মাস ধরে লড়াই করছি, এই সিরিজটি পাকিস্তান এবং দল উভয়ের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের সমর্থন করার জন্য এখানে আসা সমস্ত ভক্তদের ধন্যবাদ। বিশ্বজুড়ে আমাদের সমর্থনকারী সকলকে ধন্যবাদ। আমরা নেটে প্রচুর অনুশীলন করেছি, বোলিং গ্রুপ হিসাবে আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতাম, যোগাযোগ ভালো ছিল এবং এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাক্সি একজন সুপারস্টার, একজন কিংবদন্তি, শুধু তাঁকে আউট করার চেষ্টা করুন এবং ভাগ্যবান যে তাঁকে আমি সিরিজে তিনবার আউট করতে পেরেছি।’
কেমন ছিল পাকিস্তানের ইনিংস-
সিরিজ জয়ের জন্য ১৪১ রানের টার্গেট তাড়া করতে থাকা পাকিস্তান দলকে আবারও দুর্দান্ত সূচনা দেয় সাইম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শফিকের ওপেনিং জুটি। দুজনেই প্রথম উইকেটে ১৭.১ ওভারে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। শফিক ৫৩ বলে ৩৭ রান করে প্রথম উইকেট হিসেবে আউট হন। একই ওভারের শেষ বলে সাইম আইয়ুবকেও ক্লিন বোল্ড করেন মরিস। সাইম আইয়ুব ৫২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ছিল ৪টি চার ও একটি ছক্কা।
বাবর ও রিজওয়ান কেমন খেললেন-
দুই উইকেট পড়ার পর বাবর আজম ও দলের অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ানের অভিজ্ঞ জুটি হাফ সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। জয়ী চারটি এসেছে বাবর আজমের ব্যাট থেকে। শেষ ম্যাচেও ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেছিলেন তিনি। বাবর ৩০ বলে ৪ চারের সাহায্যে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। যেখানে রিজওয়ান ২৭ বলে অপরাজিত ২৭ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ১টি চার ও ২টি ছক্কা।
মহম্মদ রিজওয়ান এবং জেসন গিলেসপির শুরুটা দারুণ হল-
সিরিজ জয়ের পরে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা যখন দর্শকদের মাঝে মাঠ প্রদক্ষিণ করছিলেন তখন তারা অনেক সম্মান এবং প্রচুর আনন্দ উপভোগ করেছিলেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়াকে হারায়নি এবং এটি করাটা তাদের কাছে একটি মিষ্টি স্বাদের মতো ছিল। অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে যথাক্রমে মহম্মদ রিজওয়ান এবং জেসন গিলেসপির শুরুটা এর থেকে ভালো হতে পারত না।