নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার সময়টি স্মরণ করার সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি শেফালি বর্মা। সম্প্রতি এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। ২০ বছর বয়সী শেফালি জানান, দল থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া মোটেও সহজ ছিল না। সেই সময় তিনি তাঁর বাবা সঞ্জীব বর্মার পাশে ছিলেন, যিনি মাত্র দু'দিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরিবার সেই সময় একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল বলে তিনি বাবার কাছ থেকে এক সপ্তাহের জন্য দল থেকে বাদ পড়ার সংবাদটি গোপন রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে।
ওমেন্স চ্যালেঞ্জার ট্রফির ম্যাচ চলাকালীন সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেফালি বলেন, ‘এটা কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। আমি প্রকাশ করতে চাইনি কারণ আমি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার প্রায় ২ দিন আগে আমার বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তিনি ভালো না হওয়া পর্যন্ত আমি তাঁর কাছ থেকে খবর লুকিয়ে রেখেছিলাম। তখন উনি হাসপাতালে ছিলেন। আমি তাঁকে এক সপ্তাহ পরে জানিয়েছিলাম।’ শেফালির বাবাই তাঁর প্রথম কোচ ছিলেন। এই খবর শোনার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য অপেক্ষা করেননি। তিনি সিনিয়র ওমেন্স ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন আলাদা ভাবে শেফালিকে অনুশীলন করানো শুরু করেন। যাতে শেফালি দ্রুত জাতীয় দলে নিজের জায়গা ফিরে পায়।
শেফালি বলেন, ‘বাবা সবই জানেন, কখনও কখনও সন্তান হিসাবে আমরা আমাদের শক্তি ভুলে যাই কিন্তু তাঁরা ভুলে যায় না। তিনি আমাকে আমার শৈশব থেকে ওয়ার্কআউট এবং ড্রিলসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এসেছেন। তিনি আমাকে এটি করতে সাহায্য করেছিলেন। আমি যখন খেলা শুরু করি, তখন আমাদের নকিং ড্রিল ছিল – যেখানে আমি অন-ড্রাইভ, স্ট্রেইট ড্রাইভ অনুশীলন করতাম এবং এখন আমি সেই কাজই করেছি। এগুলি আমার শক্তি এবং কখনও কখনও আপনাকে সেটা মনে রাখতে সেগুলির উপর বিশেষ নজর দিতে হয় ।’
অনুশীলনের ফল শেফালির খেলায় স্পষ্ট। বাদ পড়ার পর যে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলেছেন, সেখানে শেফালি ১২ ম্যাচে ৫২৭ এবং ৪১৪ রান সংগ্রহ করেছেন, তিনটি সেঞ্চুরি এবং পাঁচটি অর্ধশতক করেছেন। ১৫২.৩১ এবং ১৪৫.২৬ এর স্ট্রাইক-রেটই বলে দেয় যে তিনি এই স্তরে কতটা ভালো খেলতে পারেন। তবে যা অবশ্যই মিস করা উচিত নয় তা হল, শেফালি তাঁর খেলা নিয়ে এখনও কাজ করছেন, বিশেষ করে স্ট্রাইক রোটেশন এবং ফিটনেসের ওপর নজর দিচ্ছেন।