বৃহস্পতিবার বল হাতে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেন গুজরাটের স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাই। আমদাবাদের গুজরাট কলেজ গ্রাউন্ডে রঞ্জি ট্রফির এলিট বি গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট ও উত্তরাখণ্ড। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল উত্তরাখণ্ড। সেখানেই বল হাতে অসাধারণ পারফর্ম করেন সিদ্ধার্থ। যেই কারণে মাত্র ৩০ ওভারে ১১১ রান তুলেই শেষ হয়ে যায় উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংস। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, উত্তরাখণ্ডের প্রথম ৯টি উইকেট তুলে নেন গুজরাটের ২৪ বছর বয়সী বাঁ-হাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাই। তবে শেষ উইকেটটি নেন বিশাল জসওয়াল। ফলে ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয় সিদ্ধার্থের।
দল চেয়েছিল শেষ উইকেটটি আমি পাই:
এরকম পারফরম্যান্সের পর এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জনিয়েছেন, দলের সব প্লেয়াররা চেয়েছিল শেষ উইকেটটি তিনি পান। কিন্তু শেষ ব্যাটসম্যান হওয়ায় ভুল করে বসেন। তিনি বলেন, ‘ইনিংসে ১০ উইকেট নিতে পারাটা অবশ্যই একটা বড় কৃতিত্ব। যখন আমি ৯ উইকেটে ছিলাম তখন অপর প্রান্তের বোলার পুরো চেষ্টা করে গেছে যাতে আমি দশম উইকেট নেওয়ার সুযোগ পাই, তাই সে অফ স্টাম্পের বাইরে লাগাতার বল করে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষের দিকের ব্যাটসম্যান হওয়ায় ভুল করেছিল। সবার খারাপ লেগেছিল, কারণ তারা চাইছিল উইকেটটি আমি পাই। তারা পরবর্তীতে আমায় অভিনন্দন জানিয়েছিল। সবাই আমায় যত বেশি সম্ভব উইকেট নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছিল।’
নির্দিষ্ট জায়গায় বল করে সাফল্য:
সিদ্ধার্থ দেশাই জানান, উইকেট টু উইকেট বল করেই সাফল্য এসেছে তাঁর। শুধু তাই নয়, ভারতের হয়ে টেস্ট দলে জায়গা করে নেওয়াই লক্ষ্য তাঁর, কারণ তাঁর স্বর্গীয় পিতার স্বপ্ন ছিল সেটাই। ১০ উইকেট না পাওয়ায় আক্ষেপ করছেন না সিদ্ধার্থ। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু উইকেট টু উইকেট বল করে গেছি এবং ধৈর্য রেখেছি। উদ্দেশ্য ছিল ৩ উইকেট নেওয়ার পর যাতে আমি ফর্ম হারিয়ে না ফেলি। ৭ উইকেট নেওয়ার পর আমার মনে হচ্ছিল আমি ১০ উইকেট নিতে পারব। ৯ উইকেট নেওয়াও একটা দারুন অনুভূতি। এই মুহূর্তটা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই গর্বের। ভারতের টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য যা যা করার প্রয়োজন আমি সব কিছু করতে রাজি, কারণ এটা আমার স্বর্গীয় পিতার স্বপ্ন ছিল।’