৫ সেপটেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল দলীপ ট্রফি। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এ বং ভারত বি। সেখানে ভারত বি দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা অলরাউন্ডার মুশির খান দলীপ ট্রফির প্রথম ইনিংসে ১৮১ রান করে সচিনের রেকর্ড ভেঙে দেন। তাঁর প্রথম ইনিংসের এই অসাধারণ ব্যাটিংয়ের উপর ভিত্তি করে ৭৬ রানে জয়লাভ করে ভারত বি। ১৯ বছর বয়সে দলীপে সুযোগ পাওয়ার বিষয় নিয়ে তিনি জানান, রঞ্জি ট্রফিতে ভালো করার পর তিনি জানতেন যে এই টুর্নামেন্ট সুযোগ পাবেন। ম্যাচের প্রথম দিনে মুশির তাঁর মেজাজ এবং দৃঢ়তা দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে। ৩৭৩ বলে দুর্দান্ত ১৮১ রান করেন। এটি তাঁর তৃতীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সেঞ্চুরি। তিনি এই ইনিংসে মোট ১৬টি ৪ ও ৫টি ৬ মারেন। যেখানে অপর প্রান্তে অন্য ব্যাটসম্যানরা কেউ দাঁড়াতে পারছে না তখন নিজেকে প্রমাণিত করেন বছর ঊনিশের মুশির। প্রথম ইনিংসে ভারত বি-কে ৯৪/৭ থেকে ৩২১-তে নিয়ে যান একাই।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার পরে মুশির বলেন, ‘আমার প্রস্তুতি আমার বাবার সঙ্গে সত্যিই ভালো ছিল। আমি রঞ্জিতে ভালো করেছি, তাই আমি জানতাম এখানে সুযোগ পেতে পারি। প্রতিটি বল আমি নন-স্ট্রাইকার এন্ড থেকে সাইনিকে খেলার জন্য উত্সাহিত করছিলাম। আমার যতদূর মনে পড়ছে শর্ট লেগে ক্যাচ ধরাটা আমার জন্য প্রথম বা দ্বিতীয়বার ছিল’। দলীপ ট্রফিতে তাঁর দল ৬ পয়েন্ট পাওয়ার পর ভারত বি অধিনায়ক অভিমন্যু ইশ্বরন খুশি ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে বোলিং করতে চাইছিলাম। ম্যাচ জেতার জন্য ৯০/৭ থেকে ফিরে আসাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জয়ী দলের সদস্য থাকাটা সত্যিই আনন্দদায়ক। ৪ জন পেসার এবং ২ স্পিনার থাকায় দলে দুর্দান্ত সমন্বয় ছিল। আমরা ৩ দিন সময় পেয়েছি, আপাতত কয়েকদিন বিশ্রাম করব। তারপর পরের প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবা শুরু করব’।
ভারত এ অধিনায়ক শুভমান গিল স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁর দল কিছু ভুল করেছে, যার ফলে পরাজিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মুশির এবং সাইনি সত্যিই ভাল খেলেছে। উইকেট থেকে খুব বেশি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছিল না’। উল্লেখ্য, পরবর্তী ম্যাচে ভারত এ মুখোমুখি হবে ভারত ডি-এর। ভারত বি মুখোমুখি হবে ভারত সি-এর।