ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট সিরিজে ধ্রুব জুরেল যে রকম পারফর্ম্যান্স উপহার দেন, ঋষভ পন্ত দলে ফিরলেও তরুণ উইকেটকিপারকে উপেক্ষা করতে পারেননি জাতীয় নির্বাচকরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্য দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে ভারতীয় স্কোয়াডে রয়েছেন জুরেল।
বছরের শুরুতেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্টে মাঠে নামেন জুরেল। রাজকোটের প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। রাঁচির প্রথম ইনিংসে ৯০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৩৯ রান করেন ধ্রুব। ধরমশালায় ১টি ইনিংসে ব্যাট করে জুলের সংগ্রহ করেন ১৫ রান।
রাঁচি টেস্টে জুরেলের চোয়ালচাপা লড়াই যারপরনাই প্রশংসা কুড়োয় বিশেষজ্ঞমহলের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে জুরেল ইউটিউব শোয়ে রাঁচি টেস্টের সময়কার অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার কথা সামনে নিয়ে আসেন। তিনি জানান যে, কীভাবে জো রুটের আচরণ তাঁকে অবাক করেছিল।
আরও পড়ুন:- IND v BAN: ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান কাদের? সেরা ৫-এ রয়েছেন কোহলি
আসলে রাঁচি টেস্টে জেমস অ্যান্ডারসনের একটানা স্লেজিংয়ের মুখে পড়তে হয় জুলেরকে। পরে জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোও অ্যান্ডারসনের সঙ্গে কথার জালে জড়ানোর চেষ্টা করেন জুরেলকে। অ্যান্ডারসন ও বেয়ারস্টোর স্লেজিং অবাক করেনি ধ্রুবকে। তবে তাঁর আইপিএল সতীর্থ জো রুটের স্লেজিং মেনে নিতে পারছিলেন না জুরেল। তিনি এই নিয়ে প্রশ্নও করেন রুটকে। ব্রিটিশ তারকা জবাবে যা বলেন, তাতে এটাই বোঝা যায় যে, দেশের হয়ে মাঠে নামলে আইপিএলের প্রসঙ্গ মূল্যহীন।
জুরেল বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩০ রানে নট-আউট ছিলাম। সেই রাতে আমার ঘুম হয়নি। পরের দিনের জন্য পরিকল্পনা করছিলাম। ভাবছিলাম যে পুরনো বলেই হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করার চেষ্টা করব নাকি নতুন বলে। আসলে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় নতুন বল নিতে তখনও কয়েক ওভার বাকি ছিল।’
জুরেল পরক্ষণেই বলেন, ‘তবে দ্বিতীয় নতুন বলে অ্যান্ডারসন বোলিংয়ে ফেরার আগেই আমি ৩৬ রান মতো সংগ্রহ করে নিই। জিমি অত্যন্ত আগ্রাসী ছিল এবং ক্রমাগত স্লেজিং করছিল। অবশ্য ব্রিটিশ উচ্চারণে কী বলছিল, অর্ধেক কথাই আমি বুঝতে পারিনি। পরে বেয়ারস্টো ও জো রুটও স্লেজিং করতে শুরু করে। আমি অবাক হয়ে যাই। কেননা জো রুট আর আমি একসঙ্গে আইপিএল খেলি। আমি ওকে জিজ্ঞাসা করি যে, তুমি কেন আমাকে স্লেজিং করছ? ও বলে যে, আমরা সবাই এখন নিজের নিজের দেশের হয়ে খেলছি।'