বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাজি লিগের মধ্যে দিয়েই দুর্নীতিবাজরা ক্রিকেটে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে, এমনই দাবি করেলন আইসিসির বিদায়ী দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল। তাঁর মতে, বিভিন্ন দেশের বোর্ডের দ্বারা পরিচালিত যে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো রয়েছে, যেগুলো সরাসরি আইসিসির হাতে নেই, সেই লিগগুলোতেই দুর্নীতির চেষ্টা চালাচ্ছে ক্রিকেটের পক্ষে ক্ষতিকারক ব্যক্তিরা। তাঁর এই উক্তি কোন দেশের ক্রিকটে বোর্ড বা ফ্র্য়াঞ্চাইজিকে উদ্দেশ্য করে সেটা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি।
আরও পড়ুন-লন্ডন থেকে ফিরেই ৪৫ মিনিট নেটে অনুশীলন কোহলির! প্রথম দিনেই পুরোদমে বোলিং বুমরাহর…
প্রাক্তন ব্রিটিশ পুলিশের সদস্য মার্শাল জানিয়েছেন, যে ক্রিকেট সাধারণ মানুষ দেখে থাকে অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে একে অপরের ক্রিকেট, সেটা একদমই স্বচ্ছ রয়েছে। তবে ক্রিকেটের মধ্যে দিয়েই যে দুর্নীতির জাল বিস্তারের এক চক্রান্ত চালাচ্ছে অসাধু চক্র, সেটাও সরাসরি বলছেন আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার প্রাক্তন প্রধান।
তাঁর কথায়, ‘আমি একদম নিশ্চিত যে দুর্নীতিবাজরা সারাক্ষণ ক্রিকেটের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ছোট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মধ্যে দিয়ে। আর সব থেকে ভয়ের বিষয়টা হল, যেহেতু খেলা থেকে অর্থ উপার্জনের পথ রয়েছে তাই দুর্নীতিবাজরা এখান থেকে সরবে না। সব সময়ই তাঁরা চেষ্টা করবে সিস্টেমের দুর্বলতা গুলোকে কাজে লাগানোর। একটা সময় ছিল যখন ক্রিকেটাররা ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারত না বলে আইসিসিকে জানাতে ভয় পেত। কিন্তু এখন এমনই হয়েছে যে ক্রিকেটাররা আগের থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় অভিযোগ জানাচ্ছে, তাঁর কাছে দুর্নীতির প্রস্তাব এলে ’।
আরও পড়ুন-মাহি কা জলওয়া! দর্শকদের আকর্ষণ টানতে IPL-এ ফিরছে পুরনো নিয়ম…সুবিধা পাবে CSK-KKR…রিপোর্ট
মার্শালের কথায়, ‘ক্রিকেটাররা দেখতে পাচ্ছে অসাধু ব্যক্তিদের নির্বাসিত করা হচ্ছে বা তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে, যারা ক্রিকেটকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এখন ক্রিকেটারদের শিক্ষা দেওয়া হয় যাতে তাঁরা বুঝতে পারেন কারা কারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সেই মতো নিজেদের যাতে সরিয়ে নিতে পারে তাঁদের থেকে। আগে শ্রীলঙ্কাতেও বিষয়গুলো মাথা চড়া দিয়ে উঠেছিল, কিন্তু এখন আগের থেকে পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে দোষীদের শাস্তি দেওয়ায়’।
আরও পড়ুন-খেলা ২২ জনের হলেও পার্থক্য গড়বে ২ ক্রিকেটার! স্মিথ-বিরাটের বন্দনায় অজি তারকা…
আইসিসিতে নিজের শেষ সাত বছরের মেয়াদে একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিটের প্রাক্তন হেড মার্শাল। এর মধ্যে নির্বাসনের কোপ পড়েছিল বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক শাকিব আল হাসানের ঘাড়েও, যিনি ভারতীয় বুকির দ্রারা প্রস্তাব পেয়েও সাময়িকভাবে চেপে গেছিলেন।