প্রতি বিশ্বকাপের আগেই অংশগ্রহণকারী সব দল নিজেদের নতুন জার্সি প্রকাশ করে। সেই মতো প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলা উগান্ডাও তাদের ওয়ার্ল্ড কাপ কিটস প্রকাশ করে। বিশ্বকাপের জার্সির নকশা নির্ধারণের জন্য রীতিমতো দেশজুড়ে প্রতিযোগিতা চালায় উগান্ডা ক্রিকেট বোর্ড। অনুরাগীদের পাঠানো নকশা থেকেই প্রাথমিকভাবে বিশ্বকাপের জার্সি বেছে নেয় তারা।
টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য উগান্ডা শুরুতে যে জার্সি প্রকাশ করে, তা ছিল অত্যন্ত নজরকাড়া। শুধু উজ্জ্বল রংয়ের জন্যই নয়, বরং হাতায় পালকের নকশার জন্য তাদের জার্সি ছিল দৃষ্টিনন্দন। বিশ্বকাপের সব দেশের জার্সির মধ্যে অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল উগান্ডার জার্সি। তবে শেষমেশ সেই জার্সি পরে বিশ্বকাপে মাঠে নামা হচ্ছে না উগান্ডার।
আসলে উগান্ডার জার্সি নিয়ে অপত্তি তোলে আইসিসি। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ ছিল না। বরং বাণিজ্যিক স্বার্থেই উগান্ডার জার্সি বিধিভঙ্গ করছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় আইসিসির তরফে। আসলে পালকের নকশার জন্য হাতায় স্পনসরের লোগো ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছিল না। অথচ বিশ্বকাপে এমনটা চলবে না মোটেও। যারা টাকা ঢালে, তাদের বিজ্ঞাপনের কথা মাথায় রাখতেই হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে।
স্পনসরের স্বর্থরক্ষার জন্যই শেষ মুহূর্তে উগান্ডাকে জার্সি বদলের নির্দেশ দেয় আইসিসি। সেই মতো বিশ্বকাপ জার্সির নকশা বদলাতে হয় তাদের। উগান্ডার নতুন জার্সি তুলনায় সাদামাটা। যদিও রং বদলাতে হয়নি তাদের। উগান্ডার জার্সির পুরোটাই এখন হলুদ। একঝলক দেখেই অস্ট্রেলিয়ার জার্সি বলে ভুল হতে পারে।
এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া হলুদ জার্সি পরে মাঠে নামছে না। তারা সবুজ জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি হলুদ রংয়ের। তবে বড় অংশে সবুজ রংও রয়েছে তাতে। উগান্ডার জার্সির পুরোটাই হলুদ হওয়ায় অন্য কোনও দলের সঙ্গে গুলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা এককথায় স্বীকার করে নেবেন যে, এমন হলুদ জার্সিতে অস্ট্রেলিয়াকে মাঠে নামতে দেখতে অভ্যস্ত সবাই।
টি-২০ বিশ্বকাপে উগান্ডা রয়েছে সি-গ্রুপে। গ্রুপ লিগে তাদের লড়াই নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউ গিনি ও যুগ্ম আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। ৩ জুন গায়ানায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে উগান্ডা। ৫, ৮ ও ১৪ জুন উগান্ডা লড়াইয়ে নামবে যথাক্রমে পাপুয়া নিউ গিনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।