শুভব্রত মুখার্জি:- ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। সেই উদ্দেশ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। আমেরিকার তিনটি প্রদেশে অর্থাৎ নিউ ইয়র্ক, ফ্লোরিডা এবং ডালাসে আয়োজিত হয়েছিল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নতুন করে গড়া হয়েছিল নিউ ইয়র্কের স্টেডিয়াম। একেবারে পিচ থেকে পরিকাঠামো সবকিছু নতুন করে করা হয়েছিল। আমেরিকা লেগে আইসিসির কত টাকা খরচ হয়েছে, সেই বিষয়েই আলোচনা করবে আইসিসি।
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আইসিসির বোর্ড মিটিং। সেই মিটিংয়েই এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর সূত্র মারফত। যা জানা যাচ্ছে, আইসিসির তরফে যে বাজেট ধরা হয়েছিল আমেরিকাতে এই বিশ্বকাপ আয়োজনের সেই বাজেট নাকি অনেকটাই ছাপিয়ে গিয়েছে। আর সেইসব বিষয়েই নাকি পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হবে আইসিসির এই বোর্ড মিটিংয়ে।
১৯ জুলাই কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে এই মিটিং। আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোতে। সেখানেই এই বিষয়ে আলোচনা হবে। আইসিসির আমেরিকা লেগে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে আইসিসির বড়সড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সেই ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতেই এই মিটিং মূলত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে সমস্ত কিছুর অডিট সম্পন্ন হয়নি। ফলে এই মুহূর্তে টাকার অঙ্কে ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ হয়ত বলা সম্ভব হবে না। কারণ গেট রিসিপ্ট অর্থাৎ টিকিট বিক্রির টাকা। গেটে যে সংস্থার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, সেই বিজ্ঞাপনের টাকা এই সমস্ত বিষয়টি এখনও নির্দিষ্ট নয়।এই বিষয়গুলো নির্দিষ্ট না হলে সম্পূর্ণ চিত্রটা পাওয়া সম্ভব নয়।
তবে আইসিসি কর্তাদের ধারণা, আমেরিকা লেগে আইসিসির ক্ষতির পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে করে টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ক্রিস টেটলি ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ৪৯ বছরের এই কর্তা তাঁর ইস্তফা দিয়েছেন। আইসিসি বোর্ডের একটি সূত্রের বক্তব্য আইসিসি টেটলির কাজে খুশি ছিলেন না। তবে তিনি ইস্তফা হয়ত অন্য কারণে দিয়েছেন। টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজনের সঙ্গে এর কোন যোগ নেই বলেই তাঁর ধারণা।
তবে যে বিষয়টি নিয়ে আইসিসির এই বৈঠকে ঝড় উঠতে পারে, তা হল নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামের পিচ এবং আউটফিল্ড নিয়ে বিশেষ করে আইসিসির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে।