বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে দিন ১৫ হতে চলল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে আয়োজিত টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় দল। সব বিভাগেই প্রতিপক্ষদের পর্যুদস্ত করে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা হাতে তুলেছেন বিরাট কোহলি - রোহিত শর্মারা। যদিও ভারতীয় দল শুধু নয়, এবারের বিশ্বকাপের অধিকাংশ দলই যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাচ খেলেছে তাঁর কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। যে ধরণের ড্রপ ইন পিচ সেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে বোলারদের জন্য কাজটা অনেক সুবিধা হয়েছিল। সেখানে অসমান বাউন্সের জন্য বারবারই বিপাকে পড়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিসহ বিশ্বের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। এরই মধ্যে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনের আগেই প্রকাশ্যে এল বড় খবর, পদত্যাগ করলেন আইসিসির দুই শীর্ষকর্তা।
আরও পড়ুন-১৮৮ টেস্ট,৭০৪ উইকেট! অ্যান্ডারসন যুগের অবসানের দিনে ফিরে দেখা পাঁচটি বিরল রেকর্ড
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিচ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হতে আসরে নামতে হয় খোদ আইসিসিকেই। তাঁরাই জানিয়েছিল পিচ কত দ্রুত আরও পরিণত করা যায় এবং খেলার জন্য উপযোগী করা যায়, সেই চেষ্টাই করবেন তাঁরা। ভারত পাকিস্তান ম্যাচে মাত্র ১১৯ রান করেও তা ডিফেন্ড করা গেছিল, এই আবহেই ব্যাপক সমালোচিত হয় আইসিসিও। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে গিয়ে যে আদতে ক্রিকেটকেই হাস্যকর করে ফেলেছিল তাঁরা, এবার নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিল আইসিসির দুই কর্তা।
আরও পড়ুন-অবসরের দিনেও তরতাজা জিমি! ম্যাচ শেষে চুটিয়ে ক্রিকেট খেললেন স্টোক্সের পুত্র-কন্যাদের সঙ্গেও
আইসিসির ইভেন্ট হেড ক্রিস টেটলি এবং মার্কেটিং কমিউনিকেশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ক্লেয়ার ফারলং নিজেদের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনের ঠিক আগেই এই সিদ্ধান্তের জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট মাঠের রিভিউয়ের পর বেশ চাপেই ছিলেন দুই শীর্ষময় আইসিসি কর্তা। আইসিসির বার্ষিক সভায় বেশ কয়েকটি বোর্ড পিচ ইস্যুতে মুখ খোলার আগেই তাই দুজন সরে দাঁড়ালেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-‘এতদিন ওর বিরুদ্ধে খেলেছি, এবার ওর কোচিংয়ে খেলব’! গম্ভীরকে স্বাগত জানিয়ে বললেন অক্ষর
যদিও আইসিসি সূত্রে খবর, নিজেরাই আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন সরে দাঁড়ানোর। যদিও আগামী সপ্তাহে বসতে চলা বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন তাঁরা। পাশাপাশি আগামী কয়েকটা মাস নিজেদের দায়িত্ব সামলাবেন সরে দাঁড়ানোর পরেও। যাতে নতুন কেউ এই পদে আসলেও বিষয়টি বুঝতে এবং দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত না হয়।