পিঠের চোট নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। সেই চোট সারিয়ে ২২ গজে সফল প্রত্যাবর্তন মোটেও সহজ বিষয় ছিল না। তবে ভারতের তারকা পেসার বুমরাহ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জানিয়েছেন, এই চোট তাঁর খেলার দর্শনই বদলে দিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বুমরাহ তাঁর চোট থেকে পুনরুদ্ধারের বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এখন আর তিনি ফলাফল নিয়ে না ভেবে, শুধু খেলাটা উপভোগ করেন।
বুমরাহের নতুন দর্শন
বুমরাহ বলেছেন, ‘আমি আমার চোট থেকে ফিরে আসার পর, যতটা সম্ভব খেলা উপভোগ করার দিকে মনোনিবেশ করেছি। কারণ কিছু বিষয় আমার পক্ষে যাবে, কিছু বিষয় যাবে না। এই সমস্ত বিষয় আমার প্রক্রিয়ার একটি অংশ হবে। তাই আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে, নিজের খেলাটা খেলতে হবে। কারণ আমি খেলাটা ভালোবাসি। খেলাটা উপভোগ করি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি ফলাফলকে গুরুত্ব না নিয়ে, শুধু নিজের খেলাতেই ফোকাস করতে চাই। বাকি সব চাপ কমিয়ে, খেলাটি উপভোগ করতে চাই। যে বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না, সেগুলি নিয়ে বেশি ভাবারও কোনও দরকার নেই।’
আরও পড়ুন: জন্মদিনের দিনই আবেগঘন বার্তা দিয়ে ক্রিকেটের মাঠ ছাড়লেন দীনেশ কার্তিক
চোট সমস্যায় হতে হয়েছিল জেরবার
২০২২ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টের পরে পিঠে চোট পান বুমরাহ। তার জেরে সেই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে পারেননি তিনি। ২০২৩ সালের অগস্টে আবার ক্রিকেটে ফেরেন বুমরাহ। গত বছরের অগস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ২২ গজে ফেরেন তিনি। এবং তার পর থেকে তিনি আর ফিরে তাকাননি। এবারের আইপিএলে খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছেন বুমরাহ। বিশ্বকাপেও সেই ফর্ম বজায় রাখার চেষ্টা করতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের চেয়ে ভারত এগিয়ে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু… রোহিতদের কোন বিষয়ে সতর্ক করলেন সৌরভ?
ভালো ইয়র্কার করার রহস্য ফাঁস
বুমরাহ আরও জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি টেনিস বল, রাবার বল- এই সব কিছু দিয়েই ক্রিকেট খেলতেন। গ্রীষ্মের ছুটিতে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করেই তাঁর সময় কেটে যেত। সেই সময় থেকেই তিনি ইয়র্কার রপ্ত করার চেষ্টা করেছেন। এখন ডেথ ওভারে ইয়র্কারের জন্য বিখ্যাত বুমরাহ।
তিনি দাবি করেছেন, ‘অল্প বয়সে আমি টেনিস বল এবং রবারের বল দিয়ে খেলেছি, বিশেষ করে গরমের ছুটির সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতাম। সেই সময়ে আমার মনে হত, ইয়র্কার দিয়েই উইকেট নেওয়া সম্ভব। আমি ফাস্ট বোলিংয়ের বড় ভক্ত। টেলিভিশনে ফাস্ট বোলারদের ইয়র্কার দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতাম। আমিও সেই ধরনের ইয়র্কার করার চেষ্টা করতাম। টেনিস বল বা রবারের বল আমাকে ইয়র্কার শিখতে কতটা সাহায্য করেছে, তা আমার জানা নেই। তবে প্রতিনিয়ত অনুশীলন করার জন্যই আমি ইয়র্কার রপ্ত করতে পেরেছি।’