একেবারে অন্তিম লগ্নে পৌঁছে গেছে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে হোক কি বল হাতে, গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে উঠে এসেছে বেশ কিছু নজরকাড়া পারফরম্যান্স। একদিকে যেমন মুশির খান, উদয় সাহারান, আর্শীন কুলকার্নিদের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা নিজেদের বিধ্বংসী ইনিংসের দ্বারা দাগ কাটতে সফল হয়েছেন। তেমনি বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।
তার মধ্যে একটি হলো পাকিস্তানের তরুণ বোলার আলি রাজার সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার উইকেটে ৩৪ রানের স্পেল। ম্যাচ পাকিস্তান না জিতলেও রাজার বলেই মন ছুঁয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাদের। অধিকাংশই মনে করছেন ভবিষ্যতে এই তরুণ ক্রিকেটারের মধ্যে সেই দক্ষতা বা ক্ষমতা রয়েছে আফ্রিদি-আমিরদের জায়গা নেওয়ার। এমনকী পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ মহম্মদ মাসরুরও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এটাই দাবি করেছেন।
মহম্মদ মাসরুর বলেন, 'রাজার মধ্যে ক্ষমতা রয়েছে ভবিষ্যতে পাকিস্তান ক্রিকেটের জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার। ও শেখপুরার নানখানা সাহিবের ছেলে। বেশিরভাগ ক্রিকেট ও নিজের গ্রামেই খেলেছে এবং জিমে যাওয়া একেবারেই পছন্দ করতো না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেটেই বোলিং করা পছন্দ করতো। ওদিক থেকে পাকিস্তানের একাধিক ভালো বোলার রয়েছে যেমন মহাম্মদ আসিফ, রানা নাভেদ ও আকির জাভেদ। ওরা তিনজনেই দুর্দান্ত বোলার ছিল নিজেদের সময়ে।'
এরপরই পাক হেড কোচ জানালেন কিভাবে রাজা তার নজরে এসেছেন। মহম্মদ মাসরুর বলেন,'আমরা রানা নাভেদ ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তিনদিনের একটা ম্যাচ খেলছিলাম। সকালবেলা আমি দেখি একজন যুবক নেট পরিষ্কার করছে এবং তারপর লাগাতার দুই ঘণ্টা বোলিং করে গেল। মধ্যাহ্নভোজে ও ঘন্টাখানেক বিরতি নিল ঠিকই, তবে ফের বোলিং করতে লাগলো। ও হচ্ছে লম্বা রেসের ঘোড়া। ও জানে কিভাবে একটা লম্বা স্পেন বোলিং করতে হয়, যেটা আজকের দিনে বেশিরভাগ তরুণ পেসরই করতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে পেস বোলারদের জন্য কোনও সঠিক সিস্টেম নেই, না আছে একটা সঠিক রিহ্যাব সিস্টেম। এছাড়াও আমাদের কোনও ভালো বোলিং কোচ নেই, বায়োমেকানিক ল্যাবগুলোও কাজ করে না। রাজার মধ্যে সেই ক্ষমতা রয়েছে আগামী দিনে পাকিস্তান ক্রিকেটে কিছু বড় করে দেখানোর, কিন্তু ওদেরকে আমাদের যত্ন করতে হবে নিজেদের সন্তানের মতো করে।'