রবিবার দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নেয় ভারত। সেই সুবাদে কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচে ভারতের জয়ে ব্যাট হাতে সব থেকে বড় ভূমিকা নেন বিরাট কোহলি। তিনি অনবদ্য শতরান করে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জেতেন। তবে ব্যাট হাতে শ্রেয়স আইয়ারও ভারতের জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ৬৭ বলে ৫৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। শেষে খুশদিল শাহর বলে ইমাম উল হকের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন আইয়ার।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৮.৫ ওভারে শ্রেয়স আইয়ার যথার্থই আউট ছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে সংশয় দেখা দেয়। এক্ষেত্রে সুনীল গাভাসকরের মন্তব্যে উঁকি দিতে শুরু করে সংশয়। খুশদিলের বল কভারের উপর দিতে মারার চেষ্টা করেন শ্রেয়স। তবে বল কভার ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে যায়নি। বরং মাটির সমান্তরালে উড়ে যায় ফিল্ডার ইমাম উল হকের দিকে। ইমাম নিজের ডানদিকে শরীর ছুঁড়ে বল তালুবন্দি করেন।
আম্পায়ার আঙুল তুলতে সময় নষ্ট করেননি। ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া শ্রেয়স আইয়ারও গুটি গুটি পায়ে হাঁটা লাগান সাজঘরের দিকে। তবে ক্যাচের টেলিভিশন রিপ্লে দেখে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় সুনীল গাভাসকর দাবি করেন যে, ইমাম ক্যাচ ধরে মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় বল মাটিতে ঠেকেছিল। অর্থাৎ, ইমাম এক্ষেত্রে ক্যাচ ধরে বল মাটিতে ঠেকিয়ে বসেন। তাই সানি মন্তব্য করেন যে, শ্রেয়সের এক্ষেত্রে রিভিউয়ের আবেদন জানানো উচিত ছিল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় ভারতের
রবিবার দুবাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে ভারতীয় দল। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তান। তারা ৪৯.৪ ওভারে ২৪১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। কুলদীপ যাদব ৯ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে টিম ইন্ডিয়া ৪২.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। বিরাট কোহলি ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১১ বলে অপরাজিত ১০০ রান করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।