ঘরের মাঠের ঘূর্ণি পিচে নিউজিল্যান্ডের মোকাবিলা করার পরেই অস্ট্রেলিয়া সফরে একেবারে ভিন্ন বাইশগজে লড়াই চালাতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। পারথে রোহিত শর্মাদের গতি ও বাউন্ডের আগুনে ঝলসাতে প্রস্তুত প্যাট কামিন্সরা।
এমনিতেই পারথের বাইশগজে বরাবর পেসাররা বিস্তর সাহায্য পেয়ে থাকেন। তাই উপমহাদেশের কোনও দল অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলতে গেলে শুরুতেই ওয়াকায় তাদের চ্যালেঞ্জে ফেলার পরিকল্পনা করে অস্ট্রেলিয়া। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। অপটাস স্টেডিয়ামের বাইশগজ গতি ও বাউন্সের ডালি নিয়ে হাজির থাকছে পেসারদের জন্য।
আপটাস স্টেডিয়ামের ড্রপ-ইন পিচের সেপ্টেম্বর থেকেই পরিচর্যা করা হচ্ছিল। এমনটা নয় যে, একেবারে ভিন্ন ধরণের টপ সয়েল ব্যবহার করা হয়েছে পিচে। বরং স্থানীয় মাটি ও একই ঘাস দিয়ে তৈরি হয়েছে পিচ, যা বরাবরের মতো আগুনে গতি ও বাউন্স উপহার দেবে বলেই মনে করছেন কিউরেটর। শেফিল্ড শিল্ডের শুরুতে পরীক্ষিতও হয়েছে পিচ।
ওয়াকার হেড কিউরেটর আইজ্যাক ম্যাকডোনাল্ড পারথের পিচ সম্পর্কে ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘এটা অস্ট্রেলিয়া, এটা পারথ। দারুণ গতি ও অনবদ্য বাউন্স ছাড়াও বল ছুটবে দুরন্তভাবে। এটা বলা যথার্থ হবে যে, গত বছরের মতোই হতে চলেছে পিচ।’
গতবছর পারথের পিচে শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার রান তুলতে অসুবিধা হয়নি। তবে ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পিচের চরিত্র বদলাতে থাকে। পাকিস্তান তাদের শেষ ইনিংসে মাত্র ৮৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ম্যাচের শেষে অজি তারকা মার্নাস ল্যাবুশান স্পষ্ট জানান যে, তাঁর খেলা অন্যতম কঠিন পিচ ছিল এটি।
উল্লেখ্য, সেই ম্যাচে পিচে ১০ মিলিমিটার ঘাস ছেড়ে রাখা হয়েছিল। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ঠিক তেমনই পরিকল্পনা রয়েছে পারথের কিউরেটরের। কেননা পরিস্থিতি অনুযায়ী ১০ মিলিমিটার ঘাস পারথের বাইশগজের জন্য এক্কেবারে যথাযথ মনে হয়েছে তাঁর।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত ২টি হোম সিরিজেও ভারতীয় ব্যাটারদের গতিতে পরাস্ত করার চেষ্টা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এবার পারথের পিচ থেকে সাহায্য পেলে জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারেন। অজি ব্যাটাররা বুমরাহদের সামলাতে হিমশিম খেতে পারেন সেক্ষেত্রে। সুতরাং, পারথের বাইশগজ প্যাট কামিন্সদের কাছে এবার শাঁখের করাত হয়ে দেখা দিতে পারে। ঋষভ পন্তরা যদি ডাকাবুকো ব্যাটিং করে দেন, তবে অস্ট্রেলিয়া না নিজেদের খোঁড়া গর্তে পড়ে হাবুডুবু খায়!