বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের বদলাটা বিশ্বকাপের মঞ্চেই নিলেন রোহিত শর্মারা। হোক না ফরম্যাট আলাদা! মঞ্চটা তো বিশ্বকাপই! সেই মঞ্চেই দাপটের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মধুর প্রতিশোধটা নিয়ে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে ভারত গড়ে ফেলল বিশ্ব রেকর্ডও।
এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সোমবার সেন্ট লুসিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার আট পর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচে সেই অজিদের হারিয়েই সেমিফাইনালে উঠলেন রোহিত শর্মারা। যে ভাবে এদিন ট্র্যাভিস হেড ব্যাট করতে শুরু করেছিলেন, তাতে ফের সাত মাস আগের আতঙ্ক ফিরে এসেছিল। কিন্তু এদিন অজিদের তরী পার করাতে পারেননি হেড। ম্যাচ জিতে ভারত পৌঁছে গেল সেমিফাইনালে। এই নিয়ে পাঁচ বার ২০ ওভারের বিশ্বকাপের সেমিতে উঠল ভারত।
আরও পড়ুন: ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের ১৪ বছর আগের রেকর্ড ছুঁলেন রোহিত, ICC T20 WC-এ গড়লেন বাউন্ডারি মারার নজিরও
ইতিহাস লিখল টিম ইন্ডিয়া
এদিন অজিদের হারানোর ফলে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড গড়ে ফেলল। এই নিয়ে ভারত মোট ৩৪টি টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ জিতলেন রোহিতরা। সেই সঙ্গে তারা ছাপিয়ে গেল শ্রীলঙ্কাকে। এর আগে শ্রীলঙ্কা ২০-বিশের বিশ্বকাপে ৩৩টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়েছিল। সুপার আটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার নজির স্পর্শ করেছিল ভারত। আর সোমবার অস্ট্রেলিয়াকে সুপার আটে নিজেদের শেষ ম্যাচে হারিয়ে তারা টপকে গেল লঙ্কা বাহিনীকে।
বিধ্বংসী রোহিত
এদিন দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিলেন রোহিত শর্মা। ভারত অধিনায়ককে কেন হিটম্যান বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি আরও এক বার বোঝালেন সে কথা। কখনও পুল, কখনও লং অনের উপর দিয়ে আবার কখনও কভারে রোহিত খেললেন অনায়াসে। আটটি ছয়, ৭টি চারের হাত ধরে ৪১ বলে ৯২ রান করে ম্যাচের সেরাও হন ভারত অধিনায়ক। মূলত হিটম্যানের কাছেই হারল অজিরা। রোহিতের সৌজন্যেই প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তোলে ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ (১৬ বলে) রান করেন সূর্যকুমার যাদব। ২২ বলে ২৮ করেন শিবম দুবে। ১৭ বলে ২৭ করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া।
আরও পড়ুন: স্টার্ককে পিটিয়ে ছাতু করে এক ওভারে ২৯ রান নিলেন রোহিত, লজ্জার তালিকায় নাম উঠল তারকা অজি পেসারের
রান তাড়া করতে ব্যর্থ অজিরা
রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভাল করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় অজিরা। অর্শদীপের বলে ৬ রানে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে হাল ধরার চেষ্টা করেন ট্র্যাভিস হেড এবং মিচেল মার্শ জুটি। ২৮ বলে ৩৭ করে আউট হন মার্শ। এর পর হেড লড়াই চালালেও, সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। ১২ বলে ২০ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এটা অজিদের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। শুধু হেডের ৪৩ বলে ৭৬ রানের পুঁজিটুকুই অস্ট্রেলিয়ার অক্সিজেন হয়। বাকিদের হাল তথৈবচ। ৭ উইকেটে ১৮১ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।