নীতীশ রেড্ডির বল ল্যাবুশানের ব্যাটের কানায় লেগে ফিল্ডারের কাছে গিয়েছে, এমনটা বলা যথাযথ হবে না মোটেও। বরং অজি তারকা বুঝেশুনে গালি অঞ্চলে জোরালো শট খেলেন। শুধু সমস্যা ছিল এটাই যে, ল্যাবুশান গড়ানো শট খেলতে পারেননি। গালির উপর দিয়ে বল হাওয়ায় ভেসে যায়। যশস্বী জসওয়াল যে এমন তৎপরতার সঙ্গে বল তালুবন্দি করবেন, সেটা বুঝে ওঠা সম্ভব ছিল না ল্যাবুশানের পক্ষে।
নামমাত্র রিঅ্যাকশন টাইমেই দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতার পরিচয় দেন যশস্বী। তিনি তড়িৎ গতিতে লাফিয়ে বল ধরে নেন এবং দাঁড়ি টেনে দেন ল্যাবুশানের অনবদ্য ইনিংসে। সুতরাং, অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে মার্নাস ল্যাবুশানকে আউট করার ক্ষেত্রে বোলার নীতীশ রেড্ডির ভূমিকা যতটা, তার থেকেও বেশি কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন ফিল্ডার যশস্বী।
অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অজি ইনিংসের ৫৪.৩ ওভারে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ল্যাবুশান। নীতীশ রেড্ডির অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে কাটশট খেলার চেষ্টা করেন মার্নাস। বল গালি অঞ্চলে উড়ে যায়। যশস্বী অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ক্যাচ ধরে নেন। ফলে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ল্যাবুশানকে।
অ্যাডিলেড টেস্টে প্রথম দিনের শেষে ল্যাবুশান অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ২০ রানে। তার পর থেকে দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৪ বলে ৫০ রানের গণ্ডি টপকান তিনি। দলগত ১৬৮ রানের মাথায় মাঠ ছাড়েন অজি তারকা। সুতরাং, প্রথম ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার শক্তপোক্ত ভিত গড়ে দেন ল্যাবুশান।
অ্যাডিলেডে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। তবে তারা প্রথম দিনেই ৪৪.১ ওভারে ১৮০ রান তুলে প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪২ রান করেন নীতীশ রেড্ডি। ৩৭ রান করেন লোকেশ রাহুল। শুভমন গিল ৩১, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২২ ও ঋষভ পন্ত ২১ রানের যোগদান রাখেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ২টি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ড।
পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই প্রথম ইনিংসের নিরিখে লিড নেওয়া শুরু করে। ল্যাবুশানের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া দুর্দান্ত শতরান করেন ট্র্যাভিস হেড। জসপ্রীত বুমরাহ ছাড়া ভারতের হয়ে তেমন প্রভাবশালী বোলিং করতে পারেননি আর কেউই।