জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দীর্ঘদিন বিরাট কোহলির সঙ্গে কাজ করেছেন রবি শাস্ত্রী। তাঁর কোচিংকালে কোহলিই ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। সুতরাং, বিরাটের শক্তি-দুর্বলতার দিকগুলি খুব ভালোভাবেই বোঝেন শাস্ত্রী। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টে বিরাটের ব্যর্থতার পরে কেউ কেউ বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বটে, তবে শাস্ত্রী সেই দলে নাম লেখাতে রাজি নন।
আসলে কোহলির দুর্বলতার দিকটি মেনে নিলেও কীভাবে সেই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ফেলা যাবে, সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও দেন শাস্ত্রী। যদিও সরাসরি কোহলির সঙ্গে বার্তালাপে নয়, বরং চেন্নাই টেস্টের ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে কোহলিকে তাঁর রোগের দাওয়াই বাতলে দেন রবি।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে অফ-স্টাম্পের বাইরের বল সামলানোর ক্ষেত্রে মুশকিলে পড়তে দেখা গিয়েছে কোহলিকে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অফ-স্পিনারদের বিরুদ্ধে কোহলিকে আউট হতে দেখা গিয়েছে বারবার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে বিরাট ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায় হাসান মাহমুদের অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে লিটন দাসের দস্তানায় ধরা পড়েন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায় অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের ফুল নেলথ ডেলিভারিতে শট খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন কোহলি। যদিও বল ব্যাটের কানায় লাগা সত্ত্বেও কোহলি এক্ষেত্রে কেন রিভিউ নেননি, সেটা বলা মুশকিল। টেস্ট কেরিয়ারে এই নিয়ে মোট ৩৯ বার অফ-স্পিনারের বলে আউট হন কোহলি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি অফ-স্পিন বোলিং টেস্টে কোহলির বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে?
ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় রবি শাস্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশেষ করে গত ২-৩ বছরে স্পিনারদের বিরুদ্ধে বারবার আউট হচ্ছে ও (কোহলি)। যদিও রানও করেছে বিস্তর। তবে ওকে আরও একটু পায়ের ব্যবহার করতে হবে। বলের ড্রপের কাছে পৌঁছও। সম্ভব হলে সুইপ মারো। ফিল্ডার উপরে থাকলে তুলে মারতে ভয় পেও না। স্পিনারদের সেট হওয়ার সুযোগ দিলে চলবে না। যখন বিস্তর রান করে, ওকে এভাবেই খেলতে দেখা যায়।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টে প্রথম ইনিংসের নিরিখে ভারত ২২৭ রানের বড়সড় লিড নেয়। শুরুতে ব্যাট করে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান সংগ্রহ করে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১১৩, রবীন্দ্র জাদেজা ৮৬ ও যশস্বী জসওয়াল ৫৬ রান করেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়।