বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত লড়াই করার রদস জোগাড় করে নেয় অশ্বিনের শতরান এবং যশস্বী ও জাদেজার জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে। তবে পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ স্বস্তিতে ছিল না মোটেও। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে উইকেট হারাতে থাকে তারা।
প্রথম ওভারেই জসপ্রীত বুমরাহ বোল্ড করেন বাংলাদেশের ওপেনার শাদমান ইসলামকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মহম্মদ সিরাজ ফাঁদে ফেলেছিলেন অপর ওপেনার জাকির হাসানকেও। তবে রোহিত শর্মার ভুলে সে যাত্রায় বেঁচে যান জাকির। ক্যাপ্টেনের ভুলে সেই সময়ে উইকেট পাওয়া হয়নি সিরাজের।
বাংলাদেশ ইনিংসের ৩.৫ ওভারে সিরাজের বলে জাকির হাসানের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউ-র জোরালো আবেদন জানায় ভারত। তবে আম্পায়ার আউট দেননি। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে রিভিউ নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন বোলার সিরাজ। তবে রোহিত বিশেষ পাত্তা দেননি বোলারকে। কেননা সিরাজ কথায় কথায় রিভিউয়ের দাবি জানাতে অভ্যস্ত।
রোহিত পরিবর্তে প্রাধান্য দেন উইকেটকিপার ঋষভ পন্তের পরামর্শকে। এক্ষেত্রে ঋষভ রিভিউয়ের পক্ষপাতী ছিলেন না। সিরাজকে উপেক্ষা করে পন্তের পরামর্শ মেনেই রোহিত শেষমেশ রিভিউ নেননি। তবে পরে জায়ান্ট স্ক্রিনে বল ট্র্যাকিংয়ের ভিডিয়ো দেখালে বোঝা যায় যে, ভুল করে ফেলেছে ভারত। কেননা বল স্টাম্পে গিয়ে লাগছিল। অর্থাৎ, রোহিত ডিআরএস নিলে সাজঘরে ফিরতে হতো জাকিরকে।
আরও পড়ুন:- কবে, কোন কোন দলের বিরুদ্ধে হাফ-ডজন টেস্ট সেঞ্চুরি করেন অশ্বিন? দেখুন তালিকা
সঙ্গত কারণেই জায়ান্ট স্ক্রিনে বল ট্র্যাকিংয়ের ভিডিয়ো দেখে হতাশ হন সিরাজ। তিনি নিজের হাত তুলে বিরক্তি প্রকাশ করেন। রোহিতও এক্ষেত্রে নিজের ভুল মেনে নেন। কিপার পন্তকেও হাত দেখিয়ে ভুল স্বীকার করে নিতে দেখা যায় সিরাজের কাছে।
জাকির যদিও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। তিনি ব্যক্তিগত ৩ রানে আকাশ দীপের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অল-আউট হয়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩২ রান করেন শাকিব আল হাসান। সিরাজ পরে সাজঘরে ফেরান নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাহিদ রানাকে। জসপ্রীত বুমরাহ প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট দখল করেন।
তার আগে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৭৬ রান। রবিচন্দ্রন অশ্বিন দলের হয়ে সব থেকে বেশি ১১৩ রান করেন। ৮৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৫৬ রানের যোগদান রাখেন যশস্বী জসওয়াল। ঋষভ পন্ত করেন ৩৯ রান। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২২৭ রানের বড়সড় লিড নেয় টিম ইন্ডিয়া।