বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদ বলেছেন, দ্বিতীয় দিনের শুরুতে যদি বাংলাদেশ বোলিংয়ে কামব্যাক করতে সফল হয়, তাহলে প্রথম ইনিংসে ভারতকে ৪০০ রানে আটকে দেওয়া যেতে পারে। আর সেটা যদি হয় তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে ভালো হবে। চেন্নাইতে দুই দলের মধ্যে খেলা প্রথম টেস্ট ম্যাচের ওপেনিং ডে-তে, বাংলাদেশ ভারতের টপ অর্ডারকে বিপর্যস্ত করেছিল এবং এক সময় ভারতের স্কোর ছিল ছয় উইকেটে ১৪৪ রান। যাইহোক, অফ-স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সেঞ্চুরি এবং রবীন্দ্র জাদেজার হাফ সেঞ্চুরির ভিত্তিতে ভারত ম্যাচে ফিরে আসতে সক্ষম হয় এবং দিনের খেলা শেষে ছয় উইকেটে ৩৩৯ রান করে।
আরও পড়ুন… ‘তিন নম্বরে তোমায় দরকার’: রোহিত-গিল-কোহলির ব্যর্থতার পরেই ভাইরাল পূজারার অনুশীলনের ভিডিয়ো
মাহমুদ হাসান বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন এবং চার উইকেট নিয়ে শিরোনামে রয়েছেন। এই ফাস্ট বোলার অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শুভমন গিল এবং ঋষভ পন্তের মতো টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিজের শিকারে পরিণত করেছিলেন। যাইহোক, অশ্বিন এবং জাদেজা শেষ পর্যন্ত মাহমুদের কঠোর পরিশ্রমের অবসান ঘটান এবং সপ্তম উইকেটে ১৯৫ রানের জুটি গড়ে ভারতের ইনিংসকে নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি মনে করি ভারতকে ৪০০ রানে সীমাবদ্ধ করতে পারলে এটা আমাদের জন্য ভালো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পিচ এখন ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ হয়েছে এবং পরিস্থিতি ব্যাটসম্যানদের জন্য অনুকূল। আমরা চেষ্টা করব কীভাবে আবার ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। আশা করি আমরা সেটা করতে পারব।’
আরও পড়ুন… IND vs BAN: অশ্বিনের প্রতিটি শট উঠে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন! দর্শক আসনে বসে থাকা এই বৃদ্ধা কে?
মাহমুদ হাসান তার চতুর্থ টেস্টে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। কোহলি ও রোহিতের মতো কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানদের আউট করার পরে মাঠে খুব একটা খুশি প্রকাশ করেননি তিনি। মাহমুদের মতে এটা করলে ব্যাটসম্যানরা যদি আরও বেশি বিরক্ত হয়। যদি তাদের আরও খারপ লাগে। তাই তিনি উিকেট পাওয়ার পরে সেভাবে সেলিব্রেশন করেন না। তিনি শুধু খুশি হন। আসলে বেশির ভাগ পেসারের ক্ষেত্রেই একটা আগ্রাসী ভাবমূর্তি থাকে। উইকেট নিয়ে আনন্দে ভাসেন তাঁরা, তবে এমনটাই তো প্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন… গম্ভীরের কোচিংয়ে অনেক সাফল্য পাবে টিম ইন্ডিয়া- গৌতিকে নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের বড় ভবিষ্যদ্বাণী
বাংলাদেশের তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ যেন উল্টো ধাঁচের তৈরি। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টেই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো কিংবদন্তির উইকেট নিয়েও উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা গেল না। দিনের খেলা শেষে হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সেলিব্রেশন করি না। এর কোনও বিশেষ কারণ নেই। হয়তো বলতে পারেন, আমি যদি বেশি সেলিব্রেট করি, ব্যাটারের হয়তো আরও বেশি খারাপ লাগবে। হয়তো এটাও কারণ, সেলিব্রেট না করার।’