চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনে শুভমন গিল ১১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এবং এই বছরে তিনি তাঁর তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। এরপরে তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্পিনকে কীভাবে খেলবেন সে বিষয়ে দীর্ঘ অনুশীলন করছিলেন। সেটাই দেখা গেল এদিন। মেহেদি হাসা মিরাজের বলে যেভাবে তিনি খেলেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে গিল স্পিনের বিরুদ্ধে নিজেকে কতটা তৈরি করেছেন।
তৃতীয় দিনের পরে শুভমন গিল বলেন, ‘আমি খুব ছোটবেলা থেকেই এই অনুশীলন করে আসছি।’ এই সিরিজটি ঋষভ পন্তের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর টেস্টে ফিরছেন তিনি। পন্তের বিস্ফোরক প্রত্যাবর্তন দেখে গিলও খুব খুশি হয়েছেন।
আরও পড়ুন… IND vs BAN: আমারটা তুই নে, তোরটা আমায় দে দেখি: ভাইরাল হল কোহলি-পন্তের সানগ্লাস বদলের মুহূর্ত
পন্তের প্রত্যাবর্তনে খুশি গিল-
তৃতীয় দিনের পরে শুভমন গিল বলেন, ‘আমি তাঁর (পন্ত) সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। সে যেভাবে ফিরে এসেছে তা দেখে আমি খুব খুশি, কারণ আমি জানি সে ক্রিকেটে ফিরে আসার জন্য কতটা পরিশ্রম করেছে। আমি মনে করি সে নিজেই নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হবে।’
পন্তের থেকে নিজের ব্যাট কীভাবে রক্ষা করছিলেন গিল
ম্যাচের তৃতীয় দিনে পন্তের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি মজার ঘটনার কথা বলেছিলেন শুভমন গিল। আসলে গিল বলেন যখন তিনি ও পন্ত যখন নিজেদের অর্ধশতরান বা শতরান করছিলেন তখন পন্তের একটি কাজে খুব বিরক্ত হয়েছিলেন গিল। তিনি পন্তকে এমন কাজ করতে না করেছিলেন। পন্ত গিলের ব্যাট দিয়ে তার ব্যাট স্পর্শ করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু ডানহাতি ব্যাটার পন্তকে সেটা করতে না করছিলেন। কারণ গিল তাঁর ব্যাটটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন। এই বিষয়ে শুভমন গিল বলেন, ‘আমি তাকে (পন্ত) ওটা করতে না করছিলাম। কারণ আমি একটি ব্যাট নিয়ে খেলছি যা আমি ইংল্যান্ড সিরিজে ব্যবহার করেছিলাম, তাই আমার ব্যাট আসলে বেশ পুরানো ছিল এবং সে আমার ব্যাটে এত জোরে আঘাত করছিল যে আমি তাঁকে ওটা করতে না করছিলাম। আসলে আমি আমার ব্যাটটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম। তবে তিনি (পন্ত) সবটা শুনে বলেন, চলুন আবার করি। ভাবুন…’
পন্ত ও গিলের মধ্যে ইনিংসের সময়ে কী কথা হচ্ছিল?
তৃতীয় দিনে যখন শুভমন গিল ও ঋষভ পন্ত ব্যাট করতে নামেন, তখন ভারতের কাছে ৩০৮ রানের লিড ছিল। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের যথেষ্ট সময় ছিল কিন্তু উভয় ব্যাটসম্যানই আক্রমণাত্মক অবস্থান গ্রহণ করতে দেরি করেননি। গিল ও পন্ত মিলে ৪১ ওভারে ২০৬ রান করেন। তবে, বোলারদের সর্বোচ্চ সময় দিতে চেয়ে দ্রুত খেলার কারণ উল্লেখ করেছেন গিল। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা (গিল এবং পন্ত) আলোচনা করেছিলাম যে আমরা এখন কিছুটা সময় কাটাব কারণ বৃষ্টির কারণে পিচ আর্দ্র হতে পারে। কিন্তু দুই-চার ওভারের পরে আমরা আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করি। কারণ শুধুমাত্র রান করতে চেয়েছিলাম। আমরা বোলারদেরও যথেষ্ট সময় দিতে চেয়েছিলাম।’
চতুর্থ দিনে পিচ কেমন হতে পারে?
প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বেশির ভাগ উইকেটই গেছে ফাস্ট বোলারদের। তবে প্রথম দুই দিনের তুলনায় তৃতীয় দিনে পিচে খুব একটা সাহায্য হয়নি, বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের জন্য। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে আসা বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিও বিশেষ সমস্যায় পড়েনি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট চার উইকেট হারিয়েছে, যার মধ্যে তিনটি এসেছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের খাতায়। আগামীকাল পিচ স্পিন বোলারদের সাহায্য করতে পারে বলে সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন গিল।
আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন শুভমন গিল-
শুভমন গিল আরও বলেছেন, ‘যে কোনও দলের বিরুদ্ধে রান করা আপনাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দেয়। আমি এটা নিয়ে অনেক কাজ করেছি। আমি এই সিরিজের আগে পরিকল্পনা করেছিলাম এবং আমার মনে হয় আমি এখন পর্যন্ত সেই অনুযায়ী খেলেছি। আমার ডিফেন্সে খেলার পরিকল্পনা ছিল।’