হারের জন্য বিশেষ অজুহাত খাড়া করলেন না জোস বাটলার। বরং মেনে নিলেন, পিচে অপ্রত্যাশিত যে প্রাথমিক সুবিধা ছিল বোলারদের জন্য, সেটা সামলাতে পারলেই বড় রান করা যেত ইডেনে। বাটলার এটাও মেনে নেন যে, তাঁরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেন। তবে ভারতীয় দল এক্ষেত্রে বাড়তি আগ্রাসন দেখিয়েছে।
শুরুতেই পরপর উইকেট হারানোই যে ইংল্যান্ডের বড় রান তোলার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, ঘুরিয়ে সেদিকেও ইঙ্গিত করেন বাটলার। অর্থাৎ, আর্শদীপ সিংয়ের শুরুতেই একজোড়া উইকেট এক্ষেত্রে বড় ধক্কা দিয়েছে ব্রিটিশ শিবিরে, সেটা ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেনের কথাতেই স্পষ্ট।
ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচ হেরে উঠে বাটলার বলেন, ‘শুরুর দিকে পিচে একটু সাহায্য ছিল, আমরা যেটা একেবারেই আশা করিনি। পিচ মোটেও খারাপ ছিল না। ওরা (ভারতের বোলাররা) শুরুতে বল সুইং করাতে সক্ষম হয় এবং তাতেই গোটা দু’য়েক উইকেট হারিয়ে বসি আমরা। যদি আপনি প্রাথমিক পর্যায়টা কাটি দেন, তবে এই পিচে রান তোলা বিশেষ অসুবিধার নয়। তাছাড়া এই মাঠে দ্রুত রান তোলা যায়।'
বাটলার আরও বলেন, ‘আমরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চাই। নজরকাড়া ক্রিকেট উপহার দিতে চাই। তবে আমরা এমন একটা দলের বিরুদ্ধে খেলছি, যারাও অতি আগ্রাসী। এটা আকর্ষণীয় সন্দেহ নেই।’
ব্রিটিশ দলনায়ক ইডেনে জোফ্রা আর্চার ও মার্ক উডের আগুনে বোলিংয়ের প্রশংসা করেন। তবে সেই সঙ্গে এটাও জানান যে, এক একটা মাঠ অনুযায়ী পিচ ও পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই হবে চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
ভারত বনাম ইংল্যান্ড প্রথম টি-২০ ম্যাচের ফলাফল
ইডেনে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস জেতে ভারত। তারা শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় ইংল্যান্ডকে। ব্রিটিশরা প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৪৪ বলে ৬৮ রান করেন জোস বাটলার। তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ৩টি এবং আর্শদীপ সিং, হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেল ২টি করে উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ১২.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০ লিড নেয় টিম ইন্ডিয়া। অভিষেক শর্মা ৩৪ বলে ৭৯ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। ম্যাচের সেরা হন বরুণ চক্রবর্তী।