শুধু ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ হারের ধাক্কাই নয়, বরং নিজেদের মাঠে প্রথমবার অন্তত তিন টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জার মুখে পড়তে হয় ভারতীয় দলকে। সেই সঙ্গে কিউয়িরা দাঁড়ি টেনে দেয় ঘরের মাঠে ভারতের টানা ১৮টি টেস্ট সিরিজ জয়ের ধারায়। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নিউজিল্যান্ডের কাছে হোম সিরিজে বিধ্বস্ত হয়ে ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা নিতান্ত কঠিন করে তোলে।
এখন ভারতের টানা তৃতীয়বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা নির্ভর করছে আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পারফর্ম্যান্সের উপরে। গুরুত্বপূর্ণ অজি সফরে পা হড়কালেই এবারের মতো ডব্লিউটিসি ফাইনালের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হবে রোহিত শর্মাদের।
নিউজিল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরেই বিসিসিআই ইঙ্গিত দিয়েছিল এমন হতাশাজনক পারফর্ম্যান্সের ময়নাতদন্তের। তবে ৬ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে এমন কড়কে দেওয়া হবে ভারতীয় দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে, এতটাও ভাবা সম্ভব হয়নি ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে যাতে এমন ভরাডুবির মুখে না পড়তে হয়, তাই অস্ট্রেলিয়া সফরের আগেই বিসিসিআই রিভিউ মিটিং আয়োজন করে বলে খবর।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা, নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর ও হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ও বোর্ড সভাপতি রজার বিনি সঙ্গত কারণেই বৈঠকে জবাবদিহি তলব করেন অন-লাইনে মিটিংয়ে যোগ দেওয়া ভারতের হেড কোচের কাছে।
শোনা যাচ্ছে যে, কোচ গম্ভীর তথা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ২টি সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয় বিসিসিআই। প্রথমত, পুণের ঘূর্ণি পিচে ভারত পর্যুদস্ত হওয়ার পরেও কীভাবে মুম্বইয়ে স্পিনিং ট্র্যাক বানানোর নির্দেশ দেন গম্ভীর। দ্বিতীয়ত, জোড়া টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও টিম ম্যানেজমেন্ট কেন মুম্বইয়ের তৃতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেয় জসপ্রীত বুমরাহকে।
এক সিনিয়র বিসিসিআই সূত্র এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘৬ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক হয়, এমন ভরাডুবির পরে যেটা প্রত্যাশিত ছিল। ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় কঠিন সিরিজ খেলতে যাচ্ছে। বিসিসিআই এটা নিশ্চিত হতে চায় যে, অজি সফরে যেন দল ছন্দে ফিরে আসে। বোর্ড এটা জানতে চায় যে, টিম ইন্ডিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এই বিষয়ে কী ভাবছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হতে পারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তবে মুম্বইয়ে জসপ্রীতের অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ঘূর্ণি পিচে ভারত ব্যর্থ হওয়ার পরেও শেষ টেস্টে একই ধরণের পিচে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েও চর্চা হয় বৈঠকে।’