বেঙ্গালুরু টেস্টে পরাজিত হওয়ার পরে ভারতীয় সমর্থকরা আশা করেছিলেন যে, পুণেতে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন দলকে। তবে টিম সাউদির বলে শূন্য রানে আউট হওয়ায় রোহিতকে নিয়ে অখুশি ক্রিকেটপ্রেমীরা। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই রোহিতের আউট হওয়ার ধরণকে ভারত অধিনায়কের সব থেকে বড় দুর্বলতা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে আসন্ন বর্ডার-গাভসকর ট্রফিতে অজি পেসাররা রোহিতের এই দুর্বলতাকেই কাজে লাগাবেন নিশ্চিত।
রোহিতের দুর্বলতা ধরতে পেরেছেন সাউদি। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত অধিনায়ককে ১৪ বার আউট করতে পেরেছেন তিনি। একা সাউদিই নন, বরং কাগিসো রাবাদাও রোহিতকে আউট করেছেন ১৪ বার। রোহিত যে নিজের দুর্বলতা ঢাকতে সচেষ্ট হননি, এমন প্রসঙ্গও উঠে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে রোহিত শর্মা টেস্টে ২টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। তবে তিনি ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। এই সময়ের মধ্যে শেষ ১১টি টেস্টে রোহিতের ব্যক্তিগত সংগ্রহে সাকুল্যে ৫৫৬ রান। ব্যাটিং গড় মোটে ২৯.২৬।
পুণেতে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ১০ জন ব্যাটারই আউট হন স্পিনারদের বলে। প্রথম দিনে একা রোহিত শর্মা আউট হন পেসারের বলে। অফ-স্টাম্পের উপর রাখা বলে বোল্ড হওয়া কার্যত অভ্যাসে পরিণত করেছেন রোহিত, এমনটাই মত নেটিজেনদের।
নেটিজেনরা রোহিতের একইভাবে বোল্ড হওয়ার একাধিক ভিডিয়ো তুলে ধরে দাবি করছেন যে, পেসারদের বলে বোল্ড হওয়ার যে টেমপ্লেট তৈরি করে ফেলেছেন রোহিত, আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে সেটাই ভোগাতে পারে ভারত অধিনায়ককে।
পুণে টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে নাগালের মধ্যে বেঁধে রাখে ভারত। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে অল-আউট হয়। তারা সাকুল্যে ৭৯.১ ওভার ব্যাট করে। ডেভন কনওয়ে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৭৬ রান করেন। হাফ-সেঞ্চুরি করে রাচিন রবীন্দ্রও। তিনি ব্যক্তিগত ৬৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন।
ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানের বিনিময়ে একাই ৭টি উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এটি তাঁর টেস্ট তথা ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স। এছাড়া ৬৪ রানে ৩টি উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৬ রান সংগ্রহ করে। তারা ১১ ওভার ব্যাট করেছে।