IND vs PAK, Champions Trophy: ‘বড় শট মার’- দু'রান বাকি থাকতে বললেন রোহিত, চার মেরে অধিনায়কের ইচ্ছাপূরণ বিরাটের- ভিডিয়ো

India vs Pakistan: কোহলির শতরান হতেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন রোহিত। পরে মাঠে নেমে কিং কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন হিটম্যান। যতই তাঁদের আকচাআকচি নিয়ে চর্চা থাকুক, দুই তারকার ব্রোম্যান্স এমনই! যে ভালোবাসা ভাইরাল হয়েছে নেট পাড়াতেও।

জয়ের জন্য তখন মাত্র দু' রান বাকি। আর বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির জন্য দরকার চার রান। অপরাজিত ৯৬ রানে ব্যাট করছিলেন কোহলি। ঠিক সেই সময়ে রোহিত শর্মা ড্রেসিংরুমের বাইরে বসে, দু' হাত তুলে ইশারায় কোহলিকে বড় শট মারতে বললেন। স্ট্রাইকে থাকা কোহলি কী করে আর অধিনায়কের অনুরোধ ফেলেন! তিনি খুশদিল শাহকে কভারের উপর দিয়ে চার মেরে ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, নিজের শতরানও পূরণ করেন।

আর কোহলির শতরান হতেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন রোহিত। পরে মাঠে নেমে কিং কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন হিটম্যান। যতই তাঁদের আকচাআকচি নিয়ে চর্চা থাকুক, দুই তারকার ব্রোম্যান্স এমনই! যে ভালোবাসা ভাইরাল হয়েছে নেট পাড়াতেও।

এমনিতেই পাকিস্তান সামনে থাকা মানেই জ্বলে ওঠে বিরাটের ব্যাট। সেটা মেলবোর্ন হোক কিংবা দুবাই, গল্পটা একই থাকে। রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগের ম্যাচে কার্যত একা হাতেই পাকিস্তানকে হারালেন কোহলি। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও দায়িত্ব নিয়ে টিমকে জিতিয়ে দিলেন বিরাট। নিজের ৫১তম ওডিআই সেঞ্চুরি এবং ৮২তম আন্তর্জাতিক শতরান পূরণ করলেন তিনি। সেই সঙ্গে পাকিস্তানকেও কার্যত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে দিলেন।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ২৪১ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। ওপেন করতে নেমে ২০ করেই সাজঘর ফেরেন তিনি। রোহিত আউট হতেই তিনে নামেন কোহলি। শুভমনের সঙ্গে তিনি ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। গিল ৪৬ করে সাজঘরে ফিরলে, শ্রেয়স আইয়ার এসে কোহলিকে সঙ্গত করেন। ৫৬ করে আউট হন শ্রেয়স। এর পর হার্দিক নেমে ৮ করে সাজঘরে ফিরে যান। পরে অক্ষর প্যাটেল এসে ৩ করে অপরাজিত থাকেন।

কিন্তু জয়ের রান উঠে গেলেও, কোহলির শতরান হবে কিনা, তা নিয়ে যখন সংশয়, সেই সময়ে চার মেরে শতরান হাঁকিয়ে মুখের চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি। এই ম্যাচটা কোহলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আসলে ওয়ান ডে ক্রিকেটে কোহলি, রোহিতের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে। বহু দিন ধরে সেভাবে ছন্দেও ছিলেন না কোহলি। তবে সব সমালোচনা জবাব দিতে তিনি প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে হাইভোল্টেজ ম্যাচকেই বেছে নিয়েছিলেন। যা তাঁকে বড় অক্সিজেন দিল। এদিকে বাংলাদেশের পর পাকিস্তানকেও দুরমুশ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে কার্যত পৌঁছেই গেল ভারত।