শুভব্রত মুখার্জি: আইপিএলের পারফরম্যান্স এখন নিঃসন্দেহে অতীত। গত আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ক্রিকেটার তথা অধিনায়ক হিসেবে সময় একেবারেই ভালো কাটেনি হার্দিক পান্ডিয়ার। তার পরেও তিনি টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পান, যা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তবে ভারতের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই বল হাতে তাঁর পারফরম্যান্স সব সমালোচনার জবাব যেন দিয়ে দিয়েছে। রবিবার যারা খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে হার্দিকের দিকে আঙুল তুলছিলেন, আজ তারাই তাঁকে হিরোর আসনে বসাচ্ছেন। আর এমন আবহেই রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর বোলিং পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সকলের। এই ম্যাচেই পাক তারকাকে আউট করার পরেও তাঁর উচ্ছ্বাসহীন হাবভাব ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ম্যাচে ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। তবে বল হাতে একেবারে জ্বলে ওঠেন তিনি। জসপ্রীত বুমরাহকে তিনি দুর্দান্ত ভাবে সহায়তা করেন। ফখর জামান এবং শাদাব খানকে আউট করেন তিনি। দুই তারকাকেই তিনি ফেরান শর্ট বলে। দু'জনেই হার্দিককে পুল করতে গিয়ে মিস টাইম করে আউট হন। দুই পাক তারকাকে আউট করে দেওয়ার পরে হার্দিককে একেবারেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। একবার তাঁকে দেখা যায়, উইকেট নিয়ে কাঁধ ঝাঁকাতে। অর্থাৎ ভাবখানা এমন যেন, এ আর এমন কী করেছি আমি! দেশের হয়ে তো এটাই আমি করে আসছি।
আরও পড়ুন: পাক ফিল্ডিংয়ের দুরবস্থা দেখে হেসে গড়াল রোহিত, হাসি চাপার ব্যর্থ চেষ্টা কোহলির- ভিডিয়ো
আর একবার দেখা যায়, উইকেট নিয়ে তাঁকে দুই হাত নীচের দিকে প্রেস করতে। অর্থাৎ ধৈর্য্য রাখার কথা বোঝান তিনি। নিজেই নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন এই ভাবেই। হার্দিকের এই উচ্ছ্বাসহীন সেলিব্রেশন দেখে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন যে, সমস্ত সমালোচনা মুখ বুজে সহ্য করার পরেই এই ভাবেই তিনি তাঁর জবাব দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ম্যাচে সেরা বোলিং করেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি চার ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান। নিয়েছেন তিনটি উইকেট। বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে পান্ডিয়া ২৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। বুমরাহ, পান্ডিয়ার দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করেই ভারত ১১৯ রানের স্কোর বাঁচিয়ে ম্যাচ জিততে সক্ষম হয়। এদিন অবশ্য পাকিস্তানের পেসাররাও বেশ ভালো বল করেছেন। নাসিম শাহ ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। মহম্মদ আমির ২৩ রান দিয়ে নেন দু'টি উইকেট। ভারতের হয়ে ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন কিপার ব্যাটার ঋষভ পন্ত।