হাতে মাত্র ১১৯ রানের পুঁজি। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে প্রথম বার ভারতকে অল আউট করার তৃপ্তি তখন লেপ্টে রয়েছে পাক শিবিরের গায়ে। এখান থেকেও যে ভারত ম্যাচ বের করতে পারবেন, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। কিছু অন্ধ ভক্ত রয়েছেন, যাঁরা ‘যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ’-এর বুলি আওড়াচ্ছিলেন। তবে দলে যদি জসপ্রীত বুমরাহের মতো একজন বোলার থাকেন, তবে সব অসম্ভবই সম্ভব করা যেতে পারে।
পাকিস্তানকে হারানোর কারিগর বুমরাহ
পাকিস্তানকে হারানোর অন্যতম কারিগর কিন্তু বুমরাহ। তাঁর তিনটি স্পেলেই উইকেট পকেটে পুড়েছেন। প্রথম স্পেলে বাবর আজমকে ফিরিয়েছেন। দ্বিতীয় স্পেলে মহম্মদ রিজওয়ান এবং তৃতীয় স্পেলে ইফতিখার আহমেদকে আউট করেছেন তিনি। তিনটি বলে ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের স্বপ্ন। ১১৯ রান করেও ৬ রানে জিতেছে ভারত। ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন বুমরাহ। তার পরেই তিনি নিজের যন্ত্রণার দিনের কথা মনে করেছেন।
যন্ত্রণা উগরালেন তারকা পেসার
আসলে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টের পরে পিঠে চোট পান বুমরাহ। যার জেরে বহু দিন তাঁকে মাঠে বাইরে থাকতে হয়েছে। এক বার মাঠে ফেরার চেষ্টা করলেও, নতুন করে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। যার ফল, সেই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে পারেননি তিনি। ২০২৩ সালের অগস্টে আবার ক্রিকেটে ফেরেন বুমরাহ। গত বছরের অগস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ২২ গজে ফেরেন তিনি। এবং তার পর থেকে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এবারের আইপিএলে খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছেন বুমরাহ। বিশ্বকাপেও সেই ফর্মই তিনি বজায় রেখেছেন।
তবে যখন চোট পেয়ে বুমরাহ ২২ গজের বাইরে, সেই সময়ে নিন্দুকদের তীব্র সমালোচনা তাঁকে হজম করতে হয়েছিল। রবিবার পাকিস্তানকে হারানোর পর সেই সময়ের যন্ত্রণার কথা মনে করেছেন বুমরাহ। ম্যাচের সেরা হওয়ার পর বুমরাহ বলেন, ‘এক বছর আগে যারা বলেছিল যে, আমি আর খেলতে পারব না এবং আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে, তারাই এখন বদলে গিয়েছে। যারা আমার স্থিতিস্থাপকতা এবং সংকল্প নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছিল, তারাই আবার আমার প্রশংসা করছে।’
নিন্দুকদের দিলেন সপাটে জবাব
বুমরাহের ফোকাস এখন শুধুই নিজের খেলার দিকে। তিনি বাইরের সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে একেবারে রাজিও নন। তিনি দাবি করেছেন, ‘আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী, সেরা বোলিং করার চেষ্টা করছি। যে সমস্যাগুলি এখনও আছে, তার সমাধান করার চেষ্টা করি। আমি জানি এটি খুব গতানুগতিক উত্তর... তবে আমি এখানে এই ধরনের উইকেটে সেরা বিকল্প কী হতে পারে, তার উপর ফোকাস করার চেষ্টা করছি।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘এখন আমি যদি বাইরের লোকের কথায় কান দিতে যাই, তাদের কথা শুনে, তবে চাপ বাড়বে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। এবং আমি নিজের কাজটাই ঠিক করে করতে পারব না।’