হাতে মাত্র ১১৯ রানের পুঁজি। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে প্রথম বার ভারতকে অল আউট করার তৃপ্তি তখন লেপ্টে রয়েছে পাক শিবিরের গায়ে। এখান থেকেও যে ভারত ম্যাচ বের করতে পারবেন, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। কিছু অন্ধ ভক্ত রয়েছেন, যাঁরা ‘যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ’-এর বুলি আওড়াচ্ছিলেন। তবে দলে যদি জসপ্রীত বুমরাহের মতো একজন বোলার থাকেন, তবে সব অসম্ভবই সম্ভব করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রথম ওভারেই শাহিনকে লম্বা ছক্কা হাঁকিয়ে রোহিত গড়লেন অনন্য নজির, এর পরেও হলেন চূড়ান্ত ফ্লপ- ভিডিয়ো
বুমরাহের বাজিমাত
এদিন পাকিস্তানকে জিততে হলে শেষ ৩৬ বলে ৪০ রান করতে হত। হাতে ছিল ৭ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে এই রান টি২০ ক্রিকেটে আকছার হাসতে হাসতেই হচ্ছে। ১৫তম ওভারে বুমরাহকে বল দিলেন রোহিত। তখন ক্রিজে ছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। ওপেন করতে নেমে দলের হাল ধরে রেখেছিলেন। ৪৩ বলে ৩১ করে ফেলেছিলেন। ভরসা দিচ্ছিলেন পাকিস্তানকে। কিন্তু ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই রিজওয়ানকে বোল্ড করেন বুমরাহ। এর আগে তৃতীয় ওভারে বুমরাহের বলে মহম্মদ রিজওয়ানের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন শিবম দুবে। তখন রিজওয়ানের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৭ রান। যাইহোক ১৫তম ওভারে এসে রিজওয়ানকে আউট করার পাশাপাশি, এই ওভারে বুমরাহ দেন মাত্র ৩ রান। এখানেই বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। এটা ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিরাটের জুতোর সমানও নয়… বাবরের সঙ্গে কোহলির তুলনা টানা নিয়ে সরব পাক প্রাক্তনী
এর পর যখন ১৯তম ওভারে বুমরাহকে ফের বল করতে নিয়ে আসেন রোহিত, তখন পাকিস্তানের জয়ের জন্য ১২ বলে ২১ রান প্রয়োজন। হাতে রয়েছে পাঁচ উইকেট। এই রান তোলাও অসম্ভব কিছু ছিল না। এই ওভারের শেষ বলে ইফতিকার আহমেদকে ফেরান বুমরাহ। ৯ বলে ৫ করে আর্শদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বুমরাহ। সেই সঙ্গে তিনি দেন মাত্র ৩ রান। এতে চাপ বাড়ে পাকিস্তানের উপর। যার ফলে, শেষ ওভারে ১৮ রান করতে হত পাকিস্তানকে। ২০তম ওভারে আর্শদীপ সিং ১১ রান বিলোলেও, জিততে পারেনি পাকিস্তান। ৬ রানে তারা ম্যাচটি হেরে যায়।
ম্যাচের রং গেল বদলে
ম্যাচের শেষে বুমরাহের বোলিং পরিসংখ্যান ৪-০-১৪-৩। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য! তিনি মহম্মদ রিজওয়ান, ইফতিকার আমেদ ছাড়াও আউট করেন বাবর আজমকেও (১৩ রান)। বুমরাহের সৌজন্যে ভারতের দেওয়া মাত্র ১২০ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান আটকে যায় ১১৩/৭ স্কোরে। ভারত ম্যাচ জেতে ৬ রানে। বুমরার বিধ্বংসী বোলিং দেখে ম্যাচের শেষ রোহিত শর্মা বলেই দিলেন, ‘বুমরাহের শক্তি দিনে দিনে বাড়ছে। আমি ওর সম্পর্কে খুব বেশি কথা বলছি না। আমরা শুধু চাই যে, এই বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত ও এমন মানসিকতা ধরে রাখুক। বল হাতে ও সত্যি জিনিয়াস।’