বহু আগে থেকেই ছিল বৃষ্টির পূর্বাভাস। এমন কী ভারি বৃষ্টির কারণে খেলা ভেস্তে যেতে পারে, এমনটাও শোনা যাচ্ছিল। ঘটলও তাই। তবে শনিবার ম্যাচ শুরুর আগে আকাশ পরিষ্কার হওয়ায় আশার আলো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে বারবার বৃষ্টির জেরে থমকেছে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত শনিবার বাতিলই হয়ে যায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি।
আরও পড়ুন: পাক পেসাররাই নিলেন ভারতের ১০ উইকেট, এমন ঘটনা আগে কবে ঘটেছে?
আর ম্যাচ বাতিল হতেই মজা করে টুইট করেন সেহওয়াগ। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘বৃষ্টির সময়ে চা আর পকোড়া রাখি আমরা। এশিয়া কাপও রেখে দিয়েছি।’ সেহওয়াগের এই টুইট দেখে মজা পেয়েছেন ক্রিকেট ভক্তরাও। তবে এই মজার মধ্যেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বৃষ্টির মরশুমে কেন রাখা হয়েছে এশিয়া কাপের ম্যাচ? যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে।
শনিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলা। আম্পায়ারদের নির্দেশে মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এর পর বৃষ্টি বন্ধ হয়ে খেলা শুরু হলে, ফের ১২তম ওভারে নামে বৃষ্টি। পরপর দু'বার খেলা বন্ধ হওয়ায়, কিছুটা টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেটার, সমর্থক সকলেই। তবে দ্বিতীয় বার বৃষ্টি বন্ধ হয়ে খেলা শুরু হলে, নির্বিঘ্নেই প্রথম ইনিংসের বাকি সময়ে খেলা হয়। কিন্তু ইনিংসের বিরতিতে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত আর খেলা শুরু করাই সম্ভব হয়নি। ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়।
ভারতীয় সময় রাত ৯.৫৩ নাগাদ ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করা হয়। ব্যাট করতে নামতেই পারেনি পাকিস্তান। রাত ১০.২৭ পর্যন্ত কাট অফ টাইম ছিল। তার মধ্যে খেলা শুরু করা গেলে ওভার কমিয়ে ম্যাচ হত। কিন্তু বৃষ্টি থামার পর মাঠ শুকোতে এবং খেলার উপযুক্ত করে তুলতে ৪৫ মিনিট সময় লাগত। রাত ৯.৫০ পর্যন্ত বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ না দেখা যাওয়ায়, শেষপর্যন্ত ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি বলও করা যায়নি। যার জেরে দুই দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়। যার জেরে পাকিস্তান পৌঁছে গেল এশিয়া কাপের সুপার ফোরে। আগের ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে তারা ২ পয়েন্ট পেয়েছিল। এদিন ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা এশিয়া কাপের পরের রাউন্ডে চলে গেল।
ড্রেসিংরুমে রোহিত, বিরাটদের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায় পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। পাল্লেকেলেতে ৯০ শতাংশ বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। আশঙ্কাই সত্যি হল। ভারতীয় ইনিংসের সময় দু'বার বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হলেও সেটা ক্ষণস্থায়ী ছিল। ভারত ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রান করে অলআউট হয়ে যায়। এর পর প্রথম ইনিংসের বিরতিতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সেটা আর সময় মতো থামেনি। যে কারণে রান তাড়া করতে নামতেই পারেননি বাবররা। এরকম হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় হতাশ ক্রিকেটাররাও। ভারতের পরের ম্যাচ সোমবার নেপালের বিরুদ্ধে।