ভারতীয় জার্সিতে আহামরি ফর্মে ছিলেন না। প্রতিটি ম্যাচের সঙ্গে তাঁদের উপরে চাপ বাড়ছিল। বিশেষত অভিষেক শর্মার উপরে বাড়ছিল চাপের মাত্রা। আর সেই পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত খেললেন তিলক বর্মা এবং অভিষেক। ৫৬ বলে অপরাজিত ১০৭ রান করেন তিলক। ২৫ বলে ৫০ রান করেন অভিষেক। আর তারপর স্বস্তি ঝরে পড়ল তিলকের গলা থেকে। নিজের জন্য তো বটেই, অভিষেকের জন্যও স্বস্তি শোনা গেল তিলকের গলায়। প্রথম ইনিংসের পরে তিলক বলেন, ‘(আমি এবং অভিষেক) দু'জনেই চাপের মধ্যে ছিলাম। আমাদের দু'জনের জন্যই এই ইনিংসটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটের যে মূল বিষয়গুলি আছে, সেগুলিই অনুসরণ করে খেলব বলে ঠিক করেছিলাম আমরা। আমাদের স্পিনাররা ভালো বল করছে। তাই আমরা ২০০-২১০ রান তোলার চেষ্টা করছিলাম। তাই আমাদের হাতে ভালো রানই আছে। আশা করছি যে জিতব।’
অতটা খারাপ ফর্মে ছিলেন না তিলক
তিলক যে একেবারেই রান পাচ্ছিলেন না, তা নয়। রান আসছিল। কিন্তু তাঁর থেকে যতটা প্রত্যাশা ছিল, সেটা পূরণ করতে পারছিলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ১৮ বলে ৩৩ রান করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ২০ বলে ২০ রান করেন। তার আগে এমার্জিং টিমস এশিয়া কাপেও (টি-টোয়েন্টি) দারুণ কিছু রান ফর্মে ছিলেন না। সবমিলিয়ে একটা বড় ইনিংসের অপেক্ষায় ছিলেন তিলক।
১টা সেঞ্চুরি ছাড়া বাকিটা অন্ধকার ছিল অভিষেকের
তাঁর থেকে বেশি চাপ ছিল অভিষেকের উপরে। সেঞ্চুরিয়নের ইনিংসের আগে পর্যন্ত ১০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৭০ রান করেছিলেন। তার মধ্যে একটা আবার শতরান ছিল। অর্থাৎ বাকি ন'টি ম্যাচে মোটে ৭০ রান করেছিলেন মারকুটে ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেও সাত রান এবং চার রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন।
৫২ বলে ১০৭ রান যোগ অভিষেক ও তিলকের
আর সেই জায়গা থেকে মঙ্গলবার সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারানোর পরে অভিষেক এবং তিলকের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা ৫২ বলে ১০৭ রান যোগ করেন। ২৫ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অভিষেক। তিনটি চার মারেন এবং পাঁচটি ছক্কা হাঁকান।
নবম ওভারে অভিষেক আউট হয়ে যাওয়ার পরে ভারত পরপর কয়েকটি উইকেট হারালেও টিম ইন্ডিয়ার ছন্দ ধরে রাখেন তিলক। প্রথম ঠিকমতো ছন্দ খুঁজে না পেলেও যত সময় যেতে থাকে, তত দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকেন। শেষপর্যন্ত ৫১ বলে শতরান পূরণ করেন। কনিষ্ঠতম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেই শতরান করেন তিলক। শেষপর্যন্ত ১০৭ রানে অপরাজিত থেকে ভারতের স্কোর নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৯ রানে পৌঁছে দেন। মারেন আটটি চার এবং সাতটি ছক্কা।