শুভব্রত মুখার্জি: ভারতে মহিলা ক্রিকেটের উন্নতি ঘটাতে বিসিসিআইয়ের তরফে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার অঙ্গ হিসেবে শুরু হয়েছে আইপিএলের ধাঁচে ডব্লুপিএলের মতো লিগ। ইতিমধ্যেই দুই বছর খেলা হয়ে গিয়েছে এই লিগের। সেই লিগের হাত ধরেই উঠে আসছেন প্রতিভাবান মহিলা ক্রিকেটাররা। শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে ভারতীয় মহিলা সিনিয়র দলের বেঞ্চেরও। গত ডব্লুপিএলে ভালো পারফরম্যান্স করার পরেই ঘরের মাঠে চলতি দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা দলের বিরুদ্ধে সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন আশা শোভনা। রবিবার প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। আর এই ম্যাচেই বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন শোভনা। ভারতের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচেই সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করার যে তালিকা রয়েছে, সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন কেরলের মেয়ে শোভনা।
আরও পড়ুন: প্রথমে স্মৃতির দাপট, পরে দীপ্তি-শোভনার আগুনে বোলিং, প্রোটিয়াদের ১৪৩ রানে উড়িয়ে দিল ভারত
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন পূর্ণিমা চৌধুরী। তিনি ১৯৯৭ সালে ওয়ানডে অভিষেকেই ভারতীয়দের মধ্যে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করেছিলেন। তিনি সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ২১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। এই তালিকাতেই দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আশা শোভনার রবিবারের ম্যাচের বোলিং পারফরম্যান্স। এদিন বেঙ্গালুরুতে আশার দুরন্ত পারফরম্যান্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিনি এদিন ২১ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আমনজোৎ কৌর। তিনি ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩১ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের মাটিতে প্রথম শতরান স্মৃতির, ছুঁঁলেন মিতালির ৭ হাজারের নজির, ভাঙলেন একাধিক রেকর্ডও
ম্যাচে এদিন প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় দল। ভারতের সহ অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা অনবদ্য একটি ইনিংস উপহার দেন। ১২৭ বলে ১১৭ রান করেন স্মৃতি মন্ধানা। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১২ টি চার এবং একটি ছয়ে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন দীপ্তি শর্মা । তিনি ৪৮ বলে ৩৭ রান করেন। এছাড়াও পূজা বস্ত্রকার ৪২ বলে ৩১ রান করেছেন। ফলে আট উইকেট হারিয়ে ভারত ২৬৫ রান করতে সমর্থ হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১২২ রানে অলআউট হয়ে যায়। মাত্র ৩৭.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা দল। সুনে লুস ৩৩, মারিজান ক্যাপ ২৪ এবং সিনালো জাফতা ২৭ রান করে আউট হন। ফলে ১৪৩ রানে ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল।