ঠাসা ক্রীড়াসূচির সঙ্গে পাল্লা দিতে যেখানে ভারতের মতো দেশকে একসঙ্গে বিশ্বের দুই প্রান্তে ২টি দল নামাতে হয়, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ কবে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে, তা ভুলতে বসেছেন ওদেশের ক্রিকেটাররা। ছোট সিরিজ ও কম ক্রিকেট খেলা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করতে শোনা গেল প্রোটিয়া তারকা এনরিখ ক্লাসেনকে। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচের পরে এনরিখ স্পষ্ট জানান যে, এতেই বোঝা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি।
ডারবানের প্রথম টি-২০ ম্যাচ জিতে ৪ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নেয় ভারত। কেবেরহার দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায়। পরে সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। সুতরাং, চতুর্থ তথা শেষ টি-২০ ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, সিরিজ হারার সম্ভাবনা নেই সূর্যকুমার যাদবদের।
ঠিক একইভাবে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। এখন সিরিজে সমতা ফেরানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে প্রোটিয়াদের সামনে। পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে, শুক্রবার সিরিজের চতুর্থ তথা শেষ টি-২০ ম্যাচ জিততেই হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এই প্রসঙ্গে ক্লাসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে, কী ভালোই না হতো, শুত্রবার তাঁরা চতুর্থ ম্যাচ জিতলে যদি রবিবার আরও একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া যেত। সেক্ষেত্রে ২-২ সমতায় দাঁড়িয়ে সিরিজের পঞ্চম টি-২০ পরিণত হতো ফাইনালে। এক্ষেত্রে চার ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলা হচ্ছে। তাই তেমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ক্লাসেন বলেন, ‘এতেই বোঝা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট এই মহূর্তে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমরা এখন আর পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলার সুযোগ পাই না। আমাদের টেস্ট দল দুই টেস্টের সিরিজ খেলে, যেটা অত্যন্ত হাস্যকর। কী দারুণ হতো, যদি আমরা শুক্রবার (ভারতের বিরুদ্ধে) চতুর্থ (টি-২০) ম্যাচ জিততাম এবং ২-২ সমতায় দাঁড়িয়ে রবিবার আরও একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া যেত!’
ক্লাসেন পরক্ষণেই বলেন, ‘এটা নিতান্ত হতাশাজনক এবং খেলোয়াড়দের জন্যও ভালো বিষয় নয়। কেননা আমরা এই সব দলের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে আমরা সব সময় দেখি যে, দুই বা তিন ম্যাচের সিরিজ খেলা হচ্ছে। এটা খুবই বিরক্তিকর। অন্যদিকে আপনারা ভারতীয় দলের দিকে তাকান। শুক্রবার বিশ্বের দুই প্রান্তে ওরা ক্রিকেট খেলতে নামবে।'